কেরালায় ফের বাম, পিনারাইয়ের রেকর্ড

দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার রাজনীতিতে ইতিহাস গড়লেন পিনারাই বিজয়ন। এবারের বিধানসভা ভোটে তার নেতৃত্বেই দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোট। পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতার পালাবদলে অভ্যস্ত রাজ্যটির রাজনীতিতে যা নজিরবিহীন।
কেরালায় এতদিন একবার বাম দল আর পরের বার কংগ্রেসকে ক্ষমতায় দেখা গেছে। এক নির্বাচনে কংগ্রেস জয় পেলে, পরের নির্বাচন জিতে বাম দল ক্ষমতায় গেছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সেই রীতি ভেঙেছেন ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান।
তার নেতৃত্বে লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ) টানা দুই মেয়াদে সরকার গড়তে যাচ্ছে। ১৯৮২ সালের পর কেরালায় এক দলের পরপর দুই মেয়াদে নির্বাচনে জয়ের ঘটনা এটাই প্রথম। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর টানা দুবার ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড করছেন তিনি।
কেরালার ১৪০ আসনের বিধানসভায় ৯৭ আসনে জিতে আবারও ক্ষমতায় থাকছে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের বাম জোট এলডিএফ। এদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট জয় পেয়েছে ৪২টি আসন। একটি আসন পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি শূন্য।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৯১ আসনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রবীণ বামপন্থী নেতা বিজয়ান। তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্ক্সিস্ট) পলিটব্যুরোর সদস্য। সেবার কংগ্রেসের ইউডিএফ জোট ৪৭ আসনে জিতেছিল। এবার জোটটির আসন কমেছে।
গত বছর মহামারি করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় কেরালার বামপন্থী সরকার দারুণ সাফল্য দেখায়। বিশ্বজুড়ে এই সফলতা ‘কেরালা মডেল’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাম সরকার এর সুফল পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে কেরালায় কংগ্রেসেও জনপ্রিয়। রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাদ আসন থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য। এর আগে পরপর দুই মেয়াদে কেরালা শাসনের রেকর্ডও কংগ্রেসের। আশির দশকে দলটির নেতা কে করুণাকরন টানা দুই মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
বিজয়ান কান্নুরের ধর্মাদম কেন্দ্রে জিতেছেন। কান্নুর জেলারই মট্টানুর কেন্দ্রে জয় পেয়েছেন করোনা পরিস্থিতিতে নজরকাড়া কাজ করে শিরোনামে আসা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। কোট্টায়মের পুথুপল্লি আসনে জয় পেয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা উম্মেন চান্ডি।
এএস