‘বাথরুমে যাচ্ছি, ধৈর্য ধরুন’, ভাইরাল এ বার্তাটি কোথাকার?
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে একটি ছবি। সেখানে লেখা, ‘বাথরুমে যাচ্ছি। আর কোনও লোক নেই। ধৈর্য ধরে দাঁড়ান। এসে টিকিট দিচ্ছি।’ ছবিটি দেখেই আন্দাজ করতে পারার কথা যে, এটি হয়তো কোনো বাস কিংবা রেলের টিকিট কাউন্টার, অথবা এমন কোনো স্থানের ছবি যেখানে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। হয়তো টিকিট বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি এটি টানিয়ে রেখেছেন।
ঠিকই ধরেছেন, ঘটনাটি একটি রেলের টিকিট কাউন্টারের। ভারতের শিয়ালদহ মেন শাখার চাকদহ টিকিট কাউন্টারে ঘটেছে এমন ঘটনা।
আরও পড়ুন
ভারতের পূর্ব রেল সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ট্রেনের টিকিটের জন্য যাত্রীদের লাইন থাকা সত্ত্বেও কিন্তু প্রকৃতির ডাককে উপেক্ষা করার আর উপায় ছিল না রেলকর্মীর। পুরো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্ব একা হাতে সামলাচ্ছিলেন ওই রেলকর্মী। উপায়ান্তর না দেখে পিচবোর্ডে মার্কার দিয়ে যাত্রীদের উদ্দেশে ওই কথাগুলো লিখে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টিকিটের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছিল। পরে মানুষের মনে দানা বাঁধে অসন্তোষ। শুরু হয় বিক্ষোভ।
ভারতীয় ওই রেলকর্মীর ‘অসহায়তা’ নিয়ে যাত্রীদের সহানুভূতি থাকলেও রেল দপ্তরের প্রতি ক্ষুব্ধ টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকশ যাত্রী। রেল দপ্তরের শূন্যপদ নিয়ে আলোচনার মাঝেই রেলকর্মীর ওই আবেদনমূলক বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিয়ালদহ মেন শাখার চাকদহ টিকিট কাউন্টার কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে প্রস্রাব করতে যান এক রেলকর্মী। টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের উদ্দেশে একটি বার্তা লিখে কাউন্টারের সামনে তা সাঁটিয়ে দিয়ে যান।
কিন্তু অপেক্ষারত যাত্রীদের প্রশ্ন, কেন রেল দপ্তরে বিকল্প কর্মী নেই? এই অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। অনেকেই ওই পিচবোর্ডে লেখার ছবি তুলে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ জানান, যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। কিন্তু তারা অসহায়।
তিনি বলেন, কর্মীরা এই জায়গায় অসহায়। নতুন নিয়োগ হচ্ছে না রেলে। কর্মী না থাকায় পরিচালনা হচ্ছে না ঠিকভাবে। রেল তো কর্মী নিয়োগে সম্পূর্ণ উদাসীন। তার ফলে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
কেএ