বেঙ্গালুরু স্টেশনে উদ্ধার হওয়া ২৭শ কেজি মাংস ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য

ভারতের বেঙ্গালুরু রেলস্টেশনে ২৭'শ কেজি মাংস উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বেঙ্গালুরু সিটি স্টেশনে জব্দ হওয়া এই মাংস ঘিরে প্রথমেই প্রশ্ন ওঠে, এগুলো আসলে কীসের মাংস? এই মাংস কুকুরের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর, এমন প্রশ্ন ওঠার পরপরই মুখ খোলে প্রশাসন।
বেঙ্গালুরুর খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনারেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ উদ্ধার হওয়া মাংস ছাগলের। তারা জানিয়েছেন, এগুলো কুকুরের মাংস নয়। শুক্রবারই বেঙ্গালুরুতে ৯০টি ইস্যুলেটেড বক্স উদ্ধার হয়েছে সিটি স্টেশনে। সেখানে মোট ২৭'শ কেজি মাংস ছিল।
জানা গেছে, জয়পুর থেকে আসা এক ট্রেনে এই মাংস নেমেছিল বেঙ্গালুরুতে। এরপরই বেঙ্গালুরু স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদে মুখর হন কয়েকজন। তারা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। আশপাশের এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে উদ্ধার হওয়া মাংস নিয়ে। অভিযোগ ওঠে, উদ্ধার হওয়া মাংস কুকুরের।
যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ওই মাংস আসলে ছাগলের। অভিযোগ উঠছে, কুকুরের মাংস বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বিক্রি হয়। আর তার পার্সেল দূরদূরান্ত থেকে এই শহরে এসে পৌঁছায়।
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের হয়েছে। মাংসের মধ্যে কুকুরের মাংস মিশিয়ে পরিবহন করার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। দ্বিতীয় এফআইআর দায়ের হয়েছে গোরক্ষক পুনীত কেরেহাল্লির বিরুদ্ধে। সেখানে অভিযোগ, খাদ্যের গুণমান বিষয়ক দপ্তরের কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার। এছাড়াও পুনীত ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সেখানকার ফুড সেফটি কমিশনার জানান, ওই মাংস কুকুরের নয়। বরং একটি বিশেষ ধরনের ছাগলের। এটি সিরোহি ছাগল। এ ছাগল, রাজস্থান আর গুজরাটের কছ-ভূজে পাওয়া যায়। তিনি জানান, কুকুরের মতোই ওই ছাগলেরও লেজ একটু বড়। গায়ে রয়েছে দাগ। তাই সেই ছাগলের সঙ্গে অনেকে কুকুরকে গুলিয়ে ফেলেন।
পিএইচ