টিকা দেয়ার দৌড়ে প্রথম ইসরায়েল

টিকাদান কর্মসূচীতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম স্থানটি অধিকার করে আছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়ে গেছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১১.৫৫ শতাংশ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থার পরিসংখ্যান এই তথ্য জানিয়েছে।
পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে বাহরাইন (৩.৪৯ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে ব্রিটেন (১.৪৭ শতাংশ), তারও পরে আমেরিকা।
১৯ ডিসেম্বর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছিল ইসরায়েল। প্রতিদিন গড়ে দেড় লক্ষ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ষাটোর্ধ্বদের আগে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের প্রথম সারিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এত দ্রুততার সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন— ইসরায়েলে প্রত্যেক বাসিন্দার স্বাস্থ্য বীমা (হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার) থাকা বাধ্যতামূলক। সরকার এই স্বাস্থ্য বীমা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। প্রথমে ফাইজ়ার-বায়োএনটেক কোভিড টিকার যথেষ্ট পরিমাণ ডোজ় মজুদ করেছে সরকার, পরে বিমা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকাদান শুরু করেছে।
করোনা-টিকায় প্রথম ছাড়পত্র দিয়েছিল ব্রিটেন। তার পরে একে-একে আমেরিকা, কানাডা, ইসরায়েল, বাকি ইউরোপ। ২০২০-র শেষের মধ্যে কী পরিমাণ টিকাকরণ হবে, তার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল সব দেশই। আমেরিকা বলেছিল, তারা ২ কোটি লোককে টিকা দিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবে জটিল টিকাদান পদ্ধতি ও দুর্বল পরিকাঠামোর জেরে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বেশিরভাগ দেশ।
আমেরিকা তাদের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছে, এক জায়গা থেকে অন্যত্র টিকা পাঠাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। কারণ ফাইজ়ারের কোভিড টিকার সংরক্ষণ ব্যবস্থা জটিল। মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে এই টিকা সংরক্ষণ করতে হয়।
ইসরায়েল এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকা অনুযায়ী টিকা-বিতরণ কী ভাবে হবে, তা ভাগ করে নিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউলি ইডেলস্টাইন জানিয়েছেন, টিকার ডোজ যেন নষ্ট না হয় সে জন্য দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে অল্প সংখ্যক ডোজ় পাঠানো হচ্ছে। অর্থাৎ, যে এলাকায় যত সংখ্যক বাসিন্দা, সেই সংখ্যক ডোজ় পাঠানো হচ্ছে। টিকাকরণের পাশাপাশি দেশজুড়ে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনও বজায় রাখা হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার।
এসএমডব্লিউ