তৃতীয় দফা লকডাউনে ইংল্যান্ড

একদিকে চলছে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ, অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। তাছাড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় ইউরোপের পাশাপাশি প্রায় সারা বিশ্ব থেকে এখনও বিচ্ছিন্ন ব্রিটেন। আর তাই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে তৃতীয়বারের মতো দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৮টায় টেলিভিশনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে ইংল্যান্ডে লকডাউন ও পঞ্চম পর্যায়ের (টিয়ার ফাইভ) করোনা বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকেই তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, লকডাউনের সময় অনুমোদিত কারণ ছাড়া ইংল্যান্ডের সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই লকডাউন চলতে পারে বলে জানান তিনি।
একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে মঙ্গলবার থেকে দূরবর্তী অবস্থানে থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন জনসন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সামনের সপ্তাহগুলো ‘‘সবচেয়ে কঠিন’’ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বরিস জনসন বলেন, শীর্ষ অগ্রাধিকারভুক্ত চার ক্যাটাগরির মানুষকে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এই চার ক্যটাগরি হচ্ছে- সব বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা ও তাদের দেখাশোনাকারী, ৭০ বা তারও বেশি বয়সের সব মানুষ, স্বাস্থ্য ও সমাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে নিয়োজিত সম্মুখযোদ্ধা এবং ক্লিনিক্যালি অতি অসুস্থ ব্যক্তি।
লকডাউনের পাশাপাশি টিয়ার ফাইভের অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী- বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। কেবল জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজনে, খাদ্যদ্রব্য কেনা, ব্যায়াম এবং যাদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা নেই তারাই ঘর থেকে বের হতে পারবেন। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট থেকে ফুড ডেলিভারী চালু থাকবে। তবে গলফ, টেনিস, আউটসাইড জিম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে করোনা সংক্রমণ রুখতে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয় স্কটল্যান্ড। তাছাড়া ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে ওয়েলস। পাশাপাশি উত্তর আয়ারল্যান্ডও ‘দূরবর্তী অবস্থানে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম’ চালানোর মেয়াদ বাড়িয়েছে।
টিএম