মার্কিন সহায়তা বন্ধে থাইল্যান্ডে বিপাকে মিয়ানমারের শরণার্থীরা

গৃহযুদ্ধের কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। এসব আশ্রয়প্রার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিত থাইল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতাল। তাদের চিকিৎসার খরচ বহন করত যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নিয়েই বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সহায়তা আগামী ৯০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। তার এই সিদ্ধান্তে হঠাৎ করেই হাসপাতাল ছাড়তে হচ্ছে সেখানকার অসুস্থ মানুষদের।
হাসপাতালগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সহায়তা প্রদান করত আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি (আইআরসি)। সংস্থাটি হাসপাতালগুলোকে আগামী শুক্রবারের (৩১ জানুয়ারি) মধ্যে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বলেছে।
এরআগে গত সপ্তাহে ইউএসএইডের সহায়তা বন্ধের নির্দেশনা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সহায়তা বন্ধের নির্দেশের কারণে বৈশ্বিক দাতব্য সংস্থাগুলো বেকায়দায় পড়েছে। কারণ তারা মার্কিন অর্থের ওপরই সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল।
মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে ৯টি শরণার্থী শিবির রয়েছে। সেগুলোতে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস করেন। এখন পর্যন্ত সেখানে কতগুলো হাসপাতাল বন্ধ হয়েছে, সেটি নিশ্চিত নয়।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইআরসি পরিচালিত কিছু হাসপাতাল বুধবার থেকেই রোগীদের ছাড়পত্র দেওয়া শুরু করেছে। যারমধ্যে আছেন গর্ভবতী নারীরাও। এছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা থাকা অনেককে অক্সিজেনসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করতে দিচ্ছে না তারা।
মার্কিন সহায়তা বন্ধ হওয়ার পর এসব শরণার্থী ক্যাম্পের পানির সরবরাহ ব্যবস্থা এবং বজ্য ব্যবস্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এমটিআই