নেতানিয়াহুর হাতে ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই বৈঠকের সময় ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়া হবে, গাজা পুনর্গঠন করে সেখান নতুন বসতি তৈরি করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রেরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সাবেক শান্তি আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়ে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর সুযোগ ছিল ট্রাম্পের। কিন্তু তা না করে গাজা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি নেতানিয়াহুর হাতে ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ তুলে দিয়েছেন। যেগুলো তিনি তার নিজের ডানপন্থি সরকারের ওপর ব্যবহার করবেন। নেতানিয়াহু তাদের কাছে দাবি করবেন, ট্রাম্পকে পেতে হলে তাদের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ পুরোটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
এই বিশ্লেষক বলেন, “ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে কথার অস্ত্র দিয়েছেন। যেটি রাজনৈতিকভাবে এমন কঠিন মুহূর্তে তাকে সহায়তা করবে।”
এদিকে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি চান গাজাবাসী অন্যত্র সরে যাক। যেন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সেনা পাঠিয়ে পুরো উপত্যকাটিকে পরিষ্কার ও এটিকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করতে পারে।
দখলদার ইসরায়েলের উগ্রডানপন্থিরা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের গাজা ও পশ্চিমতীর থেকে উৎখাতের চেষ্টা করছে। ট্রাম্প এমন ঘোষণা দেওয়ার পর উগ্রপন্থি ইসরায়েলিরা আনন্দ উল্লাস করছে। তবে গাজার বর্তমান শাসক হামাস জানিয়েছে, গাজাবাসীরা কখনোই নিজেদের জন্মস্থান ছেড়ে যাবে না।
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই