১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের যে করোনা টিকা দিচ্ছে ইউরোপ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য প্রথমবারের মতো কোনো টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শুক্রবার (২৮ মে) ইউরোপের শিশু-কিশোরদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের এই করোনা টিকা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু ও কিশোরদের জন্য ‘ভালো সহনশীল’ এবং পাশ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ‘বড় ধরনের কোনো আশঙ্কা’ নেই।

আমস্টারডামভিত্তিক সংস্থা ইএমএ’র স্বাস্থ্য হুমকি ও টিকা বিষয়ক কৌশলের প্রধান মারকো কাভালেরি বলছেন, ‘চলমান করোনা মহামারি মোকাবিলায় অল্পবয়সীদের নিরাপদ ও কার্যকর টিকার আওতায় আনতে পারা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
এর আগে শিশু-কিশোরদের জন্য ইএমএ শুক্রবারই ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার অনুমোদন দিতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছিল। ইইউ’তে এই টিকাটি ১৬ ও এর বেশি বয়সীদের জন্য আগে থেকেই অনুমোদিত রয়েছে।
এদিকে আগামী জুন মাসের ৭ তারিখ থেকে শিশুদের করোনা টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। গত বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এই ঘোষণা দেন। করোনা মহামারি প্রতিরোধে ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী শিশু-কিশোরদের দেওয়া হবে এই টিকা।

তবে টিকা নিতে শিশুদের বাধ্য বা জোর করা হবে না জানিয়ে মেরকেল বলেছেন, টিকা নেওয়ার ফলে স্কুলে যাওয়া বা না যাওয়া এবং শিশুদের নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে না।
জার্মানির আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার মেরকেল বলেন, ‘আগামী ৭ মে থেকে ১২ ও এর বেশি বছর বয়সী শিশু ও কিশোররা টিকা নেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের সুযোগ পাবেন।’
তিনি বলেন, আগ্রহীদেরকে আগস্ট মাসের মধ্যেই কমপক্ষে প্রথম ডোজটি দেওয়া সম্পন্ন করা হবে। মোটামুটিভাবে স্কুলে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

জার্মান চ্যান্সেলর আরও বলেন, ‘অভিভাবকদের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে যে: এটা বাধ্যতামূলক কোনো টিকাদান কর্মসূচি নয়। স্কুলে আসার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে বলবে না। এছাড়া টিকা নেওয়া শিশুকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা চিন্তা করা পুরোপুরি ভুল ধারণা।’
করোনা মহামারি মোকাবিলায় হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য শিশুদের টিকার আওতায় আনাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। ১২ ও এর বেশি বয়সী শিশু ও কিশোরদের টিকা দেওয়ার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।
সূত্র: আলজাজিরা
টিএম