ফ্রান্স-ইতালি সীমান্তে প্রাণ গেছে বাংলাদেশিসহ ৪৮ অভিবাসীর

ইতালির ভেন্টিমিগ্লিয়া এবং ফ্রান্সের মন্ত শহরের মধ্যকার পুলিশি তল্লাশি এড়াতে গিয়ে গত ১০ বছরে ৪৮ জন অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই অঞ্চলে কাজ করা একদল গবেষক। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সীমান্ত এলাকাটিতে সক্রিয় নাগরিক গোষ্ঠী হিউম্যান রাইটস লীগ অব নিস এবং গবেষকদের একটি দল গত ১০ বছরে সেখানে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি করেন।
বিশেষ করে আল্পস পর্বতমালা পার হওয়ার সময় অথবা যানবাহনের ধাক্কায় নিহত হওয়া অভিবাসীদের তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকার উদ্দেশ্য ছিল অজ্ঞাতদের পরিচয় বের করে আনা এবং সীমান্ত নীতির দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা তুলে ধরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ফ্রান্স-ইতালি সীমান্তে ৪৮ জন অভিবাসী মারা গেছেন। এই অভিবাসীরা ইরিত্রিয়া, সুদান, লিবিয়া, চাদ, নেপাল, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে এসেছিলেন। ৪৮ জনের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ অভিবাসীর বয়স ছিল ১৬ বছর।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যারা মারা গেছেন তাদের নাম রয়েছে তালিকার শেষের দিকে। যাদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ, সাইকু, সাঈদ, নফানসু এবং ইয়োনাসসহ বিভিন্ন নামের অভিবাসীরা।
সম্প্রতি ২৬ বছর বয়সী এক ইরিত্রিয়ানের মৃতদেহ সেন্ট-লুডোভিচ সেতুর কাছে সমুদ্রমুখী রাস্তায় পাওয়া গেছে। ইতালি এবং ফ্রান্সের সীমান্ত এই সেতুটির মধ্যেই অবস্থিত। যার একদিকে ইতালির ভেন্টিমিগ্লিয়া এবং অন্যদিকে ফ্রান্সের মন্ত শহর। এটির মাঝখানে একটি সীমান্ত চেক পোস্ট রয়েছে।
এই সেন্ট-লুডোভিচ সেতুর ঠিক পাশেই সীমান্তে মারা যাওয়া অভিবাসীদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। ২০২২ সালের শেষের দিকে এটি স্থাপন করা হয়েছিল। হিউম্যান রাইটস লীগ জানিয়েছে, সীমান্তে নিহতদের নামের তালিকার কাজ এখনও চলছে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।
এসএস