নাইজেরিয়া: টুইটার ব্যবহার করলেই দাঁড়াতে হবে আদালতের কাঠগড়ায়

অনির্দিষ্টকালের জন্য জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে নাইজেরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারির একটি টুইট মুছে দেওয়ার পর গত শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে এরপরও অন্য কোনো পন্থায় যারা টুইটার ব্যবহার করবেন তাদেরকে এবার বিচারের মুখোমুখি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ।
দেশটির সরকারের এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে কয়েকদিন আগে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারির অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টের একটি টুইট মুছে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। এরপরই জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দেশটি।
আফ্রিকার এই দেশটির দাবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই প্লাটফর্মটি নাইজেরিয়ার অস্তিত্বকে অবমূল্যায়ন করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশনা হাতে পরওয়ার পর দেশটির মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারীদের টুইটারে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এরপরও কিছু ব্যবহারকরী অন্য কোনো পন্থায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনও টুইটার ব্যবহার করছেন।
শনিবার নাইজেরীয় সরকার জানায়, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারির টুইট মুছে দেওয়া ‘হতাশাজনক’, তবে টুইটার সাময়িকভাবে বন্ধের পেছনে এটাই একমাত্র কারণ নয়।
দেশটির দাবি, ‘বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের কারণে নাইজেরিয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এছাড়া ছড়াচ্ছে ভুল তথ্য ও মিথ্যা সংবাদও। যা যেকোনো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।’
অপরদিকে শনিবার এক বিবৃতিতে নাইজেরিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর মালামি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোনো ব্যক্তি টুইটার ব্যবহার করলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্তকে বিচারের আওতায় আনতে তিনি নির্দেশনা পেয়েছেন। এই নির্দেশনাটি ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
এ ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার।
সূত্র: বিবিসি
টিএম