ভারত থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা কিনছে ব্রাজিল

ভারতীয় টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি ৪০ লাখ ডোজ কোভ্যাক্সিন কিনছে ব্রাজিল। শর্তসাপেক্ষে দেশটির সরকারকে এই টিকা ক্রয়ের অনুমতি দিয়েছে উত্তর আমেরিকার এই দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসা। শনিবার (৫ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে একথা জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এর আগে একবার অবশ্য ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন কেনা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি সেসময় দাবি করেছিল, টিকা উৎপাদনের সময় নির্দিষ্ট মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি) অনুসরণ করেনি ভারত বায়োটেক। সেই কারণে টিকা আমদানি সম্ভব নয়।
পরে সেই শর্ত মেনে টিকা তৈরি করায় আপাতত ৪০ লাখ ডোজ কোভ্যাক্সিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাজিল। একইসঙ্গে রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ টিকাও কিনছে দেশটি। প্রাথমিক ভাবে এই টিকা হাতে পাওয়ার পর সেগুলো প্রয়োগ করে ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত থেকে আরও টিকা কেনার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দেশটি।

এক বিবৃতিতে ব্রাজিল সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক নজরদারি কমিটি জানিয়েছে, ‘নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন আমদানি করতে পারবে। প্রাথমিক ভাবে ৪০ লাখ ডোজ টিকা আমদানি করা হবে। সরকারের বিশেষ কমিটির আলোচনায় শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বছরের দ্বিতীয় ও তৃতীর ভাগে ২ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের বিষয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিল সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত বায়োটেক। তারপরই টিকা উৎপাদনের সময় নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ না করার অভিযোগ তোলে দেশটি।
একইসঙ্গে অচলাবস্থা কাটাতে মান নিশ্চিত করে উৎপাদিত টিকা সরবরাহের দাবি জানানো হয়। দাবি মেনে ভারত বায়োটেক ফের টিকা উৎপাদন করলে তা আমদানির অনুমতি দেয় দেশটি। এর আগেই অবশ্য কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ব্রাজিল।
করোনাভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিলের নাম। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারির শুরু থেকে ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট এক কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪২৫ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার।
টিএম