ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলিতে ভূপাতিত হয়েছে: ট্রাম্প

ভারতশাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার পর শুরু হওয়া সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলিতে ভূপাতিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত মে মাসে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার (১৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে নৈশভোজের সময় ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। তবে তিনি বলেননি, কোন পক্ষের কয়টি বিমান ধ্বংস হয়েছে।
US President Donald Trump has said that during the recent conflict between India and Pakistan, as many as five jets were...
Posted by The Telegraph on Friday, July 18, 2025
ট্রাম্প বললেন, “আমরা অনেক যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি গর্বিত, তা হলো আমরা অনেক যুদ্ধ থামিয়েছি— গুরুতর সব যুদ্ধ, যা দীর্ঘদিন চলতে পারত।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা দেখেছেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আসলে বিমান গুলিতে ভূপাতিত হচ্ছিল। পাঁচটা, চারটা বা পাঁচটা, তবে আমার মনে হয় পাঁচটি বিমান গুলিতে ভূপাতিত হয়েছিল”। অবশ্য কোনপক্ষের কয়টি বিমান ধ্বংস হয়েছিল তা বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
পাকিস্তান বলছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মিরে হামলা চালানোর পর তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে ভারত দাবি করে, তারা “কয়েকটি” পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করেছে।
তবে ভারতের একজন শীর্ষস্থানীয় জেনারেল সম্প্রতি বলেন, সংঘর্ষের প্রথম দিনে যুদ্ধবিমান হারিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ার পর ভারত কৌশল বদলায় এবং যুদ্ধবিরতির আগেই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ আনে।
এর আগে গত মে মাসের শুরুতে ভারতের বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে বলে জানায় ইসলামাবাদ। এরপর দুই দেশ একে অপরের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরপর গত ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর তারা ২৬টি ভারতীয় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। অন্যদিকে, ভারত তাদের বিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন
ট্রাম্প অবশ্য বারবার দাবি করেছেন, তার হস্তক্ষেপেই পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকানো গেছে। এমনকি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের ভূমিকাকেও তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন। তবে ভারত এসব দাবি অস্বীকার করে বলেছে, (যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ওয়াশিংটনের কোনও ভূমিকা ছিল না।
ভারত বরাবরই বলে আসছে, ইসলামাবাদের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক ইস্যু সরাসরি ও বাইরের কোনও হস্তক্ষেপ ছাড়াই সমাধান করা উচিত।
এই বিষয়ে গত ৭ জুলাই আবারও ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, সংঘর্ষ থামাতে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল কেন্দ্রীয়। তবে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “অনেক কিছুই নিজের জন্য নিজেই কথা বলে। সবাই তাদের মতামত দিতে পারে, কখনো কখনো কিছু মতামত ভুলও হতে পারে।”
টিএম