ভারতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অবশেষে বোয়িং ও হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ নম্বর ফ্লাইটের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এবার উড়োজাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা বোয়িং এবং প্রযুক্তি সরবরাহকারী সংস্থা হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২৬০ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিবার আমেরিকার ডেলাওয়্যার সুপিরিয়র কোর্টে গত মঙ্গলবার এই মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের জ্বালানি সরবরাহকারী সুইচের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। অভিযোগকারীরা জানান, সুইচের লকিং ব্যবস্থা এতটাই ত্রুটিপূর্ণ ছিল যে, এটি অসাবধানতাবশত বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং থ্রাস্ট না পাওয়ায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বোয়িং এবং হানিওয়েল উভয় সংস্থা এই ত্রুটি সম্পর্কে অবগত ছিল। বিশেষ করে, ২০১৮ সালে আমেরিকার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বোয়িং কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলস্বরূপ এতগুলো মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এই দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাকবক্সের তথ্য প্রকাশ নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ককপিট রেকর্ডারে দুই পাইলটের মধ্যে কেবল— জ্বালানি বন্ধ করলে কেন? এবং আমি করিনি— এইটুকু কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছিল। এতে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পাইলটের ভুল এবং বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি— দুইটি বিষয় নিয়েই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।
আরও পড়ুন
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ নম্বর ফ্লাইটের এই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটিতে ২২৯ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। উড্ডয়নের মাত্র দুই মিনিটের মাথায় এটি ঘনবসতিপূর্ণ মেঘানিনগরের একটি মেডিকেল কলেজের ছাদে বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ২২৮ জন যাত্রীসহ মোট ২৬০ জন আগুনে ঝলসে মারা যান। আশ্চর্যজনকভাবে, এই দুর্ঘটনায় মাত্র একজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান।
তবে, মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়িং ও হানিওয়েল— দুই সংস্থাই তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এমজে