ছোট ছোট নৌকা গাজায় পৌঁছায়, তবে সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন পারে না?

ইসরায়েলের আরোপিত নৌ-অবরোধে বিধ্বস্ত গাজায় যখন সাধারণ মানুষের ছোট নৌকা পৌঁছাতে পারছে, তখন শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর নৌবাহিনী কেন সেটা পারে না? এই প্রশ্ন তুলেছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকা আলবানিজ।
সারা বিশ্ব থেকে মানবাধিকার কর্মীরা কয়েক ডজন নৌকায় ত্রাণ নিয়ে গাজার দিকে রওনা হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বেসামরিক সহায়তা বহরের নৌকাগুলো যখন ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তখন শক্তিশালী নৌবাহিনীসমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলো কেন একই কাজ করতে পারছে না— এই প্রশ্ন তুলেছেন ফ্রান্সেসকা আলবানিজ। তিনি জাতিসংঘে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি।
— Francesca Albanese, UN Special Rapporteur oPt (@FranceskAlbs) October 1, 2025
আলবানিজ বলেছেন, যখন “বিশ্বের সাধারণ নাগরিকেরা” ছোট ও কম সম্পদের নৌকায় করে গাজার ৬০ নটিক্যাল মাইল (১১১ কিলোমিটার) দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে, তখন বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন সহজেই ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে পারছে না, সেটিই বড় প্রশ্ন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, “রাষ্ট্রগুলো কেন তাদের নৌবাহিনী দিয়ে অবরোধ ভাঙছে না? এ কেমন পৃথিবীতে আমরা বাস করছি? না, আমরা এটিকে মেনে নেব না।”
আলবানিজ আরও বলেন, “চলো, এগিয়ে চলো ফ্লোটিলা! নিরাপদে যাত্রা করো। সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সহায় হোক।”
সংবাদমাধ্যম বলছে, সারা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা বহু সংখ্যক নৌকায় ত্রাণ নিয়ে গাজার দিকে রওনা হয়েছিলেন। বুধবার গাজা উপকূল থেকে কিছু দূরে ১৩টি নৌকা বা ফ্লোটিলা আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এখনো ৩০টি নৌকা ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছে বলে মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, গাজা উপকূল থেকে ৪৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ওই নৌকাগুলোকে আটক করা হয়। ওই নৌকাগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হয়ে গেছে। যে মানবাধিকার কর্মীরা ওই নৌকাগুলোতে আছেন, তাদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য তারা যাচ্ছিলেন। বাকি ৩০টি নৌকা এখনো গাজার দিকে তাদের যাত্রা জারি রেখেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
টিএম