ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু?

কয়েক বছর ধরে চলা দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ক্ষমা পেলেও রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রোববার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে বিদায় না নেওয়ার এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষমা পেলে রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘না।’’
গত মাসে দুর্নীতির মামলায় ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীরা সেই সময় ক্ষমা প্রার্থনার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ায় তার সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে তাকে ক্ষমা ঘোষণা করা হলে তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে।
ইসরায়েলে সাধারণত আদালতের কার্যক্রম শেষ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। ইসরায়েলে বিচার চলাকালে ক্ষমার কোনও নজির নেই।
ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নেতানিয়াহু বারবার নিজের নির্দোষ দাবি করেছেন। তার আইনজীবীরা বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি একেবারে খালাস পাবেন বলে নেতানিয়াহু এখনও বিশ্বাস করেন।
নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হারজোগকে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ইসরায়েলের বিরোধী রাজনীতিকরা বলেছেন, যেকোনও ক্ষমা শর্তসাপেক্ষ হওয়া উচিত। ক্ষমা পাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে হবে এবং নিজের দোষ স্বীকার করতে হবে।
অন্যরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে আগে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে। ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস