মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাতে প্রায় ছয় মাসে দেশটির আনুমানিক ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থা।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো–অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানোর দিন মিয়ানমারের প্রধান একটি সশস্ত্রগোষ্ঠী সামরিক আগ্রাসন, সাধারণ মানুষের মৃত্যু ও সংঘাত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার সংকটে। জান্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ ছাড়াও ছায়া সরকার ও সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর যৌথ সেনাদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাত চলছে।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো–অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স তাদের ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকলে দেশটিতে সশস্ত্র সংঘাত-সংঘর্ষ, সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাতে নানা বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের কারেন রাজ্য থেকে ১ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে গত মাসে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লক্ষাধিক। এছাড়া চিন রাজ্যে সেনা ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের সংঘাতে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘাত-সংঘর্ষে উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন ও শান রাজ্যে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই এসব সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।
মিয়ানমারের সবচেয়ে পুরনো ও অন্যতম বৃহত্তম সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীদের সশস্ত্র সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানিয়েছে,
দেশজুড়ে সামরিক বাহিনীর অত্যধিক বলপ্রয়োগ ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘সামরিক জান্তাদের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে কেএনইউ তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে এবং যতটা সম্ভব সাধারণ জনগনের ও নিরস্ত্র মানুষকে সেনাদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে।’
এএস