গাজায় সেনা পাঠাতে পাকিস্তানকে চাপ যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক বাহিনীর অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাতে পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী। যেখানে মূলত মুসলিম দেশের সেনারা থাকবেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ চাপের কারণে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনীর। কারণ গাজায় আন্তর্জাতিক যে বাহিনী যাবে সেটি হামাসের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবে। আর এই দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোনো ভুল হয় বা হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়; তাহলে নিজ দেশে সমালোচনার মুখে পড়বেন মুনীর।
শুধু তিনি নয়, যেসব দেশই সেনা পাঠাবে তাদের সরকার প্রধানরা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের একটিা ঝুঁকিতে থাকবেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির। এরমাধ্যমে গত ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয় বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
দুই মাস আগে ট্রাম্পের ২০ দফার ভিত্তিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। এটির একটি ধারায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর কথা বলা হয়। যারা গাজা পুনর্গঠন এবং অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে কাজ করবেন।
আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
যেসব দেশ সেনা পাঠাতে যাচ্ছে সেসব দেশের সরকারের শঙ্কা হামাসকে নিরস্ত্র করতে এই সেনাদের কাজে লাগানো হতে পারে। এতে করে এই সেনারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাবেন। যা সেনা পাঠানো দেশগুলোর মানুষকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান রয়টার্সকে বলেছেন, “গাজায় সেনা না পাঠালে অসীম মুনিরের ওপর ক্ষুব্ধ হতে পারেন ট্রাম্প। এটি পাকিস্তানের জন্য কোনো ছোট বিষয় নয়। পাকিস্তান ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়, যেন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও সামরিক সহায়তা পাওয়া যায়।”
মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। তাদের আছে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করা পরীক্ষিত সৈনিক। পাকিস্তান এখন পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি যুদ্ধ করেছে। সর্বশেষ গত মে মাসে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই