তিন সরকারি দপ্তরে দুদকের অভিযান

উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়মের অভিযোগে দেশের তিন জেলায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে কুড়িগ্রাম, ঝিনাইদহ ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকসূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলায় টিআর ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুড়িগ্রাম থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে রাজিবপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। তালিকা থেকে বাছাইকৃত আটটি প্রকল্পের কাজ নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে পরিমাপ গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত পরিমাপ প্রতিবেদন ও নথি পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ বাইরে বিক্রি, চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ দুদকের জেলা কার্যালয় অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে রোগী সেজে হাসপাতালে আগত রোগীদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসক ও নার্সদের সেবার মান, সরবরাহকৃত ওষুধ ও খাবারের মান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, প্যাথলজি বিভাগ, স্টোর রুম, ওষুধ বিতরণ ব্যবস্থা এবং রান্নাঘর সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়।
পরিদর্শনকালে রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, অনেক ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনে উল্লেখিত সব ওষুধ তারা পাচ্ছেন না। এছাড়া হাসপাতালের আশপাশে কয়েকটি দালাল চক্রের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়, যারা রোগীদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী সরবরাহে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের ওষুধের স্টক ও বিতরণ সংক্রান্ত রেজিস্টারও পর্যালোচনা করা হয়। অভিযানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
আর ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের ঢাকা অফিস থেকে আরও একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দলিল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন ও যাচাই-বাছাই করা হয়। পাশাপাশি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
আরএম/এসএমডব্লিউ