মহাকাশ থেকে পৃথিবী দেখার অভিজ্ঞতা অবিশ্বাস্য: শিরিষা

‘অবিশ্বাস্য’, ‘জীবনে পরিবর্তন’ এনে দেওয়ার মতো মুহূর্ত। মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখার অভিজ্ঞতাকে ঠিক এভাবেই বর্ণনা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী শিরিষা বান্দলা। পাশাপাশি এই যাত্রার সাফল্য মেলায় আগামী দিনে মহাকাশে ভ্রমণের খরচ কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কল্পনা চাওলা, সুনীতা উইলিয়ামসের পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় নারী হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ৩৪ বছর বয়সী শিরিষা। দিন দু’য়েক আগে ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়োনিয়ার রিচার্ড ব্র্যানসনের সঙ্গে তিনি মহাকাশে পাড়ি দেন। সঙ্গে ছিলেন আরও চারজন।
গত রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে নিউমেক্সিকো থেকে ভার্জিন গ্যালাকটিকের ভিএসএস ইউনিটি বা ইউনিটি-২২ মহাকাশযানে করে তারা মহাকাশে ভ্রমণ করেন। ঘণ্টাখানেক মহাকাশে কাটিয়ে ফের তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন। পরে মহাকাশ ভ্রমণ এবং সেখান থেকে পৃথিবীকে দেখার সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন শিরিষা।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, আমি যেন এখনও মহাশূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছি। কিন্তু আমি এখন মাটিতেই রয়েছি। মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখার অভিজ্ঞতা জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ভ্রমণের পুরো সময়টিই ছিল অসাধারণ।’
এদিকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের গুন্টুরের বাড়ি থেকে শিরিষাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দাদা ও অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. বান্দলা নাগাইয়া। তিনি বলেন, আমি আজ খুব খুশি। ছোটবেলা থেকে মহাকাশ ও সেখানে ভ্রমণে শিরিষার আকর্ষণ ছিল। আজ তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গুন্টুরের মেয়ে শিরিষা স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পরপরই মা, বাবার সঙ্গে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পার্দু ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি যোগ দেন ভার্জিন গ্যালাকটিকে। এখন তিনি সেই সংস্থার গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স এবং রিসার্চ অপারেশন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এদিকে আগামী ২০ জুলাই আরও এক ধনকুবের জেফ বেজোসও তার সংস্থা ব্লু অরিজিন-এর ‘নিউ শেফার্ড’ যানে চড়ে যাচ্ছেন মহাকাশ ভ্রমণে। তার সেই অভিযানে সঙ্গী হবেন বেজোসের ভাই এবং নাসায় কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৮২ বছর বয়সী নারী ওয়ালি ফাংক।
ব্লু অরিজিন-এর দাবি, ভার্জিন গ্যালাকটিকের চেয়েও তারা আরও গভীর মহাকাশে যাবেন। সেটা ভৃপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায়। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ‘কারম্যান লাইন’ নামে অভিহিত করে থাকেন।
টিএম