চুরির ভয়ে টিকা লুকিয়ে রাখবে দক্ষিণ আফ্রিকা

চুরি ও কালো বাজারে বিক্রির ভয়ে ১৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা গোপন স্থানে সংরক্ষণ করার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারত থেকে আফ্রিকার এই দেশটিতে এসব করোনা টিকা সরবরাহের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
রোববার (১০ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক সিটি প্রেস’কে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র পোপো মাজা বলেন,‘করোনা টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একবার চুরি হয়ে কলো বাজারে পৌঁছে গেলে এগুলো হবে খুবই দামি পণ্য। তখন অবৈধভাবে ও উচ্চমূল্যে এই টিকা বেচা-কেনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন,‘আমরা কেন্দ্রীয় ভাবে গোপন একটা স্থানে কোভিড-১৯ টিকা সংরক্ষণ করবো। এরপর সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে সরবরাহ করবো।’
পোপো মাজা আরও বলেন,‘করোনা টিকার বিষয়ে নিরাপত্তা ইস্যুও আছে। কারণ এই টিকা চুরির বিষয়ে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে বলে ইতোমধ্যেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা দেশগুলো আমাদের সতর্ক করেছে। তাই করোনার টিকা হাতে পাওয়ার পর কোথায় সেটা সংরক্ষণ করা হবে সেটা আমরা প্রকাশ করবো না।’
গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়েলি খিজে বলেন,‘নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ও ভাইরাসের নতুন একটি ধরন মোকবিলায় কঠিন সময় পার করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ভারত থেকে ১৫ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তি আমরা নিশ্চিত করেছি।’
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও ২১ হাজার ৬০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৩৯৯ জন।
ভারত থেকে চলতি মাসের মধ্যে ১০ লাখ ডোজ করোনা টিকা হাতে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে আফ্রিকার এই দেশটি। বাকি পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাতে পাবে দেশটি।
তবে ভারত থেকে টিকা নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকরা এখনও এই টিকার অনুমোদন দেয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়েলি খিজে বলেন,‘ভারত থেকে অ্যস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা অনুমোদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সাউথ আফ্রিকান হেলথ প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অথোরিটি (এসএএইচপিআরএ) যৌথভাবে কাজ করছে।’
সেরাম ইনস্টিটিউট ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে অনুমোদনের পর টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা খুশি বলেও জানান তিনি।
টিএম