ভারতজুড়ে সেরামের টিকা বণ্টন শুরু

• পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১৩টি শহরে টিকা পাঠানো হচ্ছে
• ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু
• প্রথম ধাপে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে
• ডোজ প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট থেকে ২০০ রুপি নিচ্ছে সেরাম
• সংস্থাটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান
করোনা প্রতিরোধে টিকা দান কর্মসূচির চার দিন আগে ভারতজুড়ে টিকা বণ্টনের কাজ শুরু হয়েছে। ভারতের পুনে শহরের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে করোনার ‘কোভিশিল্ড’ টিকা ভর্তি ৩টি ট্রাক বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
প্রথম ধাপে ভারতে মোট ৩০ কোটি মানুষের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি।
মঙ্গলবার সকালে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাকে করে প্রথমে টিকাগুলোকে পুনে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান কার্গো বিমানে করে বিভিন্ন রাজ্যে ও শহরে পাঠানো হয় এই টিকা।
পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, প্রথম ধাপে পুনে বিমানবন্দর থেকে কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, গৌহাটি ও লখনৌসহ দেশটির মোট ১৩টি শহরে মঙ্গলবার এই টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, প্রতি ডোজ টিকার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট থেকে ২০০ রুপি (২.৭২ মার্কিন ডলার) দাম নিচ্ছে তারা। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে সাড়ে ৪ কোটি ডোজ করোনার টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। এসব টিকা জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া হবে করোনার প্রথম সারির যোদ্ধাদের।
চলতি মাসের শুরুতে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনেওয়ালা জানিয়েছিলেন, ভারতের বেসরকারি বাজারে তাদের তৈরি করোনা টিকার দাম পড়বে ডোজ প্রতি ১ হাজার রুপি। আর কেন্দ্রীয় সরকারকে তারা ডোজপ্রতি ২০০ টাকা দরে টিকা সরবরাহ করবে।
প্রথম দফায় মোদি সরকার ভারতের ৩০ কোটি মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজন ৬০ কোটি ডোজ টিকা। অবশ্য দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যেই সেরাম থেকে ৫ কোটি ডোজ সংগ্রহ করেছে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা উৎপাদন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সংখ্যার দিক থেকে তারা বিশ্বের সবথেকে বড় টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা।
আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতজুড়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করার পাশাপাশি নিয়োগ করা হয়েছে প্রশিক্ষিত জনবল। টিকা দেওয়া হবে এমন সব স্থানে ৫ জনের সমন্বয়ে দল তৈরি করা হয়েছে। তাদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভ্যাকসিনেটর’। তারা টিকা দেবেন, নাম নথিভুক্ত করবেন, টিকা নেওয়ার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেদিকেও নজর রাখবেন।
টিএম