টিকাদানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে চলেছে ভারত

জুলাইয়ের মধ্যে ৫০ কোটি ডোজ কোভিড টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ভারত সরকার নির্ধারণ করেছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হতে চলেছে দেশটি। সোমবার ভারত সরকারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন কথাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়ে এর নেপথ্য কারণ হিসেবে স্থানীয়ভাবে ভারতে একমাত্র টিকার উদ্ভাবক ও উৎপাদক দেশীয় প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের কোভিড টিকা উৎপাদনের প্রতিশ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার বিষয়টিকেই সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
গত জানুয়ারির মাঝামাঝি বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ভারতে। এখন পর্যন্ত মানুষকে দেওয়ার জন্য দেশজুড়ে ৪৩ কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি দিয়েছে শুধু চীন। কিন্তু জনসংখ্যার তুলনায় ভারতের এই সংখ্যা অন্য দেশের চেয়ে কম।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত মে মাসে জানিয়েছিল, জুলাইয়ের শেষ নাগাদ তাদের হাতে আসবে ৫১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা এবং এর মাধ্যমে সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক ৯৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
জুলাইয়ের মধ্যে সরকার টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তা পূরণ করতে হলে এখন দৈনিক যত মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে সেই সংখ্যা তিনগুণ করে ১ কোটি ৪০ লাখ করতে হবে। কিন্তু ভারত বায়োটেকের সরবরাহের হিসাব ধরলে যা প্রায় অসম্ভব।
জুলাই এবং আগস্টে যথাক্রমে ৬ কোটি ও ৭ কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিন (ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা) পাবে বলে আশায় ছিল ভারত সরকার। কিন্তু ভারত বায়োটেক জুলাইয়ে মাত্র আড়াই কোটি ডোজ সরবরাহ করেছে। আগস্টে যা হবে সাড়ে তিন কোটি ডোজ।
ব্যাঙ্গালুরুতে নতুন টিকা উৎপাদন কারখানা চালু হওয়ায় আগস্টে ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে এক কোটি ডোজ টিকা বেশি পাওয়া যাবে বলে গত সপ্তাহে সংসদকে জানান দেশটির স্বাস্থমন্ত্রী মানকুশ মান্ধাভিয়া। তার দাবি, এতে টিকাদান কর্মসূচি ব্যহত হবে না।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের সাথে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া নিজেদের উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে জানতে চাওয়া হলেও কোনো মন্তব্য কিংবা সাড়া দেয়নি ভারত বায়োটেক কর্তৃপক্ষ।
এএস