ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির চাকা সচল হবে সেপ্টেম্বরে

করোনার এশীয় উপকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির চাকা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে স্বাভাবিকভাবে ঘুরবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার। ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের এক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
করোনার অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে গত প্রায় দেড় মাস ধরে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটির করোনা পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে জাভা, বালি, বোর্নিওসহ বিভিন্ন দ্বীপের অধিকাংশ হাসপাতাল নতুন রোগী ভর্তি করার মতো অবস্থায় নেই।
এই পরিস্থিতিতে ৩ জুলাই থেকে দেশটিতে এক মাসের কঠোর করোনা বিধিনিষেধ জারি করে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বিধিনিষেধ জারি সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে।’
৩ আগস্ট সেই বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা, তবে সোমবার এক সরকারি আদেশে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয় এবং সরকারের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হলে এই মেয়াদ আরও বাড়বে।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাডি সাদিকিন অবশ্য জানিয়েছেন, সংক্রমণের সর্বোচ্চ স্তর ইতোমধ্যে দেশটি পার করে এসেছে এবং বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও কমে আসছে। তবে সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও ইন্দোনেশিয়ায় করোনা পজিটিভ শনাক্তের হার এখনও উচ্চ।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া, তবে এই কর্মসূচি চলছে খুবই ধীরে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা গেছে।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৯৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এর মধ্যে গত ১৫ জুলাই সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্ত এবং ২৭ জুলাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। ১৫ জুলাই ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭৫৭ জন এবং ২৭ জুলাই মারা গেছেন ২ হাজার ৬৯ জন।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ