করোনায় দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড থাইল্যান্ডে

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে গত প্রায় এক মাস ধরে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো থাইল্যান্ডেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যে মঙ্গলবার প্রাণঘাতী এ রোগে দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে।
থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২০০ জন এবং মারা গেছেন ১৮৮ জন করোনা রোগী। ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শনিবার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই দেশটিতে করোনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। ওই দিন করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং মারা গিয়েছিলেন ১৭৮ জন। মাত্র তিন দিনের ব্যাবধানে পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল থাইল্যান্ড।
এদিকে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানতে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে রাত্রিকালীন কারফিউ ও বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। থাই সরকারের কোভিড ১৯ টাস্কফোর্সের মুখপাত্র আপিসামাই শ্রীরঙ্গসান কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আল জাজিরাকে শ্রীরঙ্গসান বলেন, ’সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে এবং এর ফলে দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কি না – তা পর্যালোচনা করা হবে ১৮ আগস্ট। যদি উন্নতি না হয়, তাহলে আরও বাড়ানো হবে বিধিনিষেধের সময়সীমা।’
৫ লাখ ১৩ হাজার ১২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ থাইল্যান্ডে মোট প্রদেশ ৭৬টি। দেশটিতে বসবাস করেন প্রায় ৭ কোটি মানুষ।
চলতি বছরের শুরু থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে দেশটির সরকার এবং কর্মসূচির প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বছর শেষ হওয়ার আগেই দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার।
তবে টিকার ডোজের সংকট ও সরকারের ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে বর্তমানে একেবারেই গতিহীন অবস্থায় রয়েছে এ কর্মসূচি। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ২১ শতাংশ করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন এবং টিকার উভয় ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন মাত্র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
সূত্র : আল জাজিরা
এসএমডব্লিউ