টিকা নেই, সংকটে কলকাতার টিকাদান কার্যক্রম

করোনা টিকা কোভিশিল্ডের ডোজে টান পড়ায় সংকট দেখা দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতার গণটিকাদান কার্যক্রমে। কলকাতা পৌরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বিনোদ কুমার বলেন, ‘কোভিশিল্ড টিকার ডোজ নেই। শুক্রবার থেকে কলকাতার যে ১৫২টি জায়গায় (টিকাদান কেন্দ্র) এই টিকা দেওয়া হতো, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টিকার ডোজ না আসা পর্যন্ত বন্ধই থাকবে সেসব টিকাদান কেন্দ্র।’
কলকাতায় টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করছে শহরটির পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। শহরের ১০২ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৫০টি মেগা সেন্টারে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ২০০০ জনকে দেওয়া হচ্ছিল এই টিকার ডোজ।
এতগুলো টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সংকটে পড়েছে কলকাতার টিকাদান কর্মসূচি। তবে তা পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না, কারণ এখনও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের হাতে কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ মজুত আছে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে এ প্রসঙ্গে বিনোদ কুমার বলেন,‘কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজই পাওয়া যাবে। কলকাতা পুরসভার (পৌরসভা) ৩৯টি হেলথ সেন্টার ও ১টি মেগা সেন্টার থেকে দেওয়া হবে কোভ্যাক্সিন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীদের আগে টিকা দেওয়া হবে। তারপর বাকিদের দেওয়া হবে প্রথম ডোজ।’
চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। এই কর্মসূচিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড ও ভারতের নিজস্ব করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন ব্যবহৃত হচ্ছে।
কোভিশিল্ড টিকা প্রস্তুত করেছে ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি।
অন্যদিকে ভারতের নিজস্ব করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত করেছে ভারতের তেলেঙ্গানাভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি ভারত বায়োটেক।
কিন্তু টিকাদান কর্মসূচিতে এই দু’টি টিকার ডোজ ব্যবহার হলেও পশ্চিমবঙ্গে কোভিশিল্ড টিকার চাহিদা বেশি।
অবশ্য শুক্রবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে চলমান টিকার সংকটের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন- টিকার ডোজ পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।
ইতোমধ্যে সেই অভিযোগ খণ্ডনও করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডোজ পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র রাজ্যে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
এসএমডব্লিউ