করোনা সচেতনতায় দেবী দুর্গার মুখে সোনার মাস্ক

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, বাড়ছে মৃত্যু। করোনা সংক্রমণ রোধে মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতার বিকল্প নেই। কীভাবে সচেতনতা বাড়ানো যায়? মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে আরও উৎসাহিত করা যায়? এই নিয়ে ভাবনা যখন, তখন করোনা সচেতনতায় দেবী দুর্গার মুখে পরানো হলো মাস্ক। যেনতেন মাস্ক নয়- একেবারে সোনার মাস্ক।
এ ঘটনা ভারতের। দুর্গা প্রতিমার মুখে সোনার মাস্ক পরানোর অভিনব এ উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাগুইআটির অশ্বিনী নগর বন্ধুমহল ক্লাব।
রোববার (৮ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিমার মুখে সোনার মাস্ক পরিয়ে দেন রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সি। উপস্থিত ছিলেন শাস্ত্রবিশারদ শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিতও।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বন্ধুমহল ক্লাবের এবারের থিমের নাম ‘অরুণ’। যাতে প্রয়াত থিম শিল্পী অরুণ পালকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অন্ধকার রাতের মতো কঠিন সময় পেরিয়ে নতুন সূর্যের আগমনের প্রার্থনা করা হয়েছে। কোভিড পরবর্তী জটিলতার জন্য মৃত্যু হয় অরুণ পালের। তারপর থিমের দায়িত্ব নেন সম্রাট ভট্টাচার্য। প্রয়াত অরুণ পালকে শ্রদ্ধা জানিয়েই থিমের ভাবনা তার। এর পাশাপাশি কোভিড সচেতনতার দিকটিও মাথায় রাখা হয়েছে।
সোনার মাস্কের পাশাপাশি দেবী দুর্গার হাতে রয়েছে সার্জিক্যাল মাস্ক, শরীরের তাপ মাপার যন্ত্র, অক্সিমিটার, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জের মতো অস্ত্র। এতেই যেন করোনা অসুর বধ হয়ে যায়, এই প্রার্থনাই করা হয়েছে।

সোনার মাস্কে আবার বেশি বিলাসিতা হয়ে যায়নি তো? প্রশ্নের উত্তরে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো বিলাসিতা নয় শুভ ধাতু হিসেবে সোনার ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে সব অশুভের বিনাশ হয়। পূজার ব্যয় অন্যান্যবারের থেকে অনেক কমই করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় নানা সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত অশ্বিনী নগর বন্ধুমহল ক্লাব। এলাকায় সেফ হোম রয়েছে, অক্সিজেন পার্লারও খোলা হয়েছে, কারও প্রয়োজন হলেই ছুটে যান ক্লাবের সদস্যরা। সেসব খরচ সামলেই বিশেষ এই উদ্যোগ করা হয়েছে। যাতে সাবেকি প্রতিমাতেও মানুষকে আরও সচেতন করে তোলা যায়।
এইচকে