অতিবৃষ্টি ও বন্যায় মেক্সিকোর এক হাসপাতালে ১৭ রোগীর মৃত্যু

প্রবল বর্ষণ ও এর জেরে সৃষ্ট বন্যায় উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর একটি হাসপাতালে কমপক্ষে ১৭ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন করোনা রোগীও রয়েছেন।
দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হিদালগো প্রদেশের একটি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মেক্সিকোর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবল বর্ষণ ও এর জেরে সৃষ্ট বন্যার কারণে নদীর পানি উপচে হিদালগো প্রদেশের তুলা শহরের একটি হাসপাতালে ঢুকে পড়ে এবং এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। পরে রোগীদের এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মৃত রোগীদের মধ্যে কয়েকজন করোনা রোগীও রয়েছেন। যারা হাসপাতালের সরবরাহ করা অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকে পড়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তারা মারা যান।
বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা প্রায় ৪০ জন রোগীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় একজন প্রাদেশিক গভর্নরকে বহনকারী একটি নৌকা নদীতে ডুবে গেছে। ওই গভর্নরের নাম ওমর ফায়াদ।
পরে অবশ্য টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি ‘নিরাপদে ও ভালো’ আছেন বলে জানান। বন্যা ও দুর্যোগ-পীড়িত অঞ্চলগুলোতে জরুরি উদ্ধার তৎপরতা ও কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন ওমর ফায়াদ।
বন্যা ও দুর্যোগ-পীড়িত মানুষকে উদ্ধার এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনা মোতায়েন করেছে মেক্সিকোর সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর জানিয়েছেন, বন্যার পানি ঢুকে হাসপাতালে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি ‘খুবই মর্মাহত’।
বন্যার পানি ঢুকছে এমন নিচু অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওব্রাদর। সম্ভব না হলে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে নিরাপদ স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হিদালগো প্রদেশের বিভিন্ন স্থানজুড়ে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বর্তমানে বন্যাপীড়িত। এছাড়া উত্তর মেক্সিকোর আরেক শহর একাটেপেকে পৃথক বন্যায় দু’জন মারা গেছেন।
টিএম