পম্পেওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ২৮ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। ‘পাগলাটে কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে’ চীনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায় ও নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুধবার জো বাইডেনের শপথের সময় দেওয়া এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ওই বিবৃতিতে অনুসারে, বেইজিংয়ের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক অ্যাসিস্টান্ট সেক্রেটারি ডেভিড স্টিলওয়েল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার এবং জাতিসংঘে মার্কিন দূত কেলি ক্রাফট রয়েছেন।
এছাড়া টাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবং সাবেক উপদেষ্টা স্টিভেন ব্যাননের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, নীচু রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, পক্ষপাত ও চীনের প্রতি হিংসার কারণেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব ব্যক্তিরা বেইজিংবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। তাদের এসব কর্মকাণ্ড চীনের বা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কোনো উপকারে আসেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা চীনের মূল ভূ-খণ্ড, হংকং এবং ম্যাকাউতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ওই ব্যক্তিরা এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানও চীনের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না।’

এদিকে চীনের এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিনে বিশাল খবর! যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষায় নিরন্তর প্রচেষ্টার কারণে চীনের দেওয়া এই সম্মান আমি গ্রহণ করছি।’
অবশ্য চীনের এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অকার্যকর ও রূঢ়’ বলে আখ্যায়িত করেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। চীনের এই পদক্ষেপকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভাজন সৃষ্টিকারী’ বলেও মন্তব্য করেছে তারা।

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হরনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে উভয় দলের (ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান) উচিত- চীনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা। চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার অবস্থান শক্ত করতে উভয় দলের নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী প্রেসিডেন্ট বাইডেন।’
সূত্র: আলজাজিরা
টিএম