কুয়েতে অচলাবস্থা কাটাতে সাবাহকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ

গত সপ্তাহে দেশের মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগের প্রেক্ষিতে পার্লামেন্ট কার্যত অচল হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহকে পুনঃনিয়োগ দিয়েছেন কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ।
গতবছর সেপ্টেম্বরে দেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর থেকে মন্ত্রিসভায় নিজের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেওয়াসহ বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের মতকে প্রাধান্য দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন শেখ নাওয়াফ আল সাবাহ। এর মধ্যে গত সপ্তাহে কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্য একযোগে পদত্যাগ করলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় পার্লামেন্টে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতেই শেখ সাবাহ আল খালিদকে পুনঃনিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা কুনা বা কুয়েত নিউজ এজেন্সি।
এমন এক সময়ে কুয়েতের আমিরের সঙ্গে দেশটির মন্ত্রিসভা ও পার্লামেন্টের দ্বন্দ্ব তৈরি হলো যখন করোনা মহামারি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় আরবের তেলনির্ভর অন্যান্য দেশের মতো ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে কুয়েত।
তবে কুয়েতের জন্য এ বিষয়টি নতুন নয়। গত কয়েক দশকে দেশটির আমির-মন্ত্রিসভা ও পার্লামেন্টের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে কয়েকবার এমন অচলাবস্থার সৃষ্ট হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের বিনিয়োগ, অর্থনীতি ও রাজস্ব বিভাগ।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয় শেখ সাবাহ আল খালিদকে; এরপর কুয়েতের স্পিকারসহ বিভিন্ন পার্লামেন্টারি কমিটিতে আমিরের নিজের পছন্দের লোকজনের নিয়োগপ্রাপ্তির প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে একযোগে পদত্যাগ করেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
৫০ আসন বিশিষ্ট কুয়েতের পার্লামেন্ট সদস্যদের উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণবন্ত পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত, কারণ একমাত্র কুয়েতের পার্লামেন্টেই সদস্যরা আইন প্রণয়ন, স্থগিত করণ এবং মন্ত্রীদের প্রশ্ন করার এক্তিয়ার রাখেন।
তবে অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মতো সরকারের উচ্চপদগুলো এখনও দেশটির রাজ পরিবারের সদস্যদের হাতেই কুক্ষিগত থাকে; আর যে কোনো বিষয়ে দেশের শাসনতান্ত্রিক প্রধান আমিরের মতই শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয় সেখানে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ