‘ঘি’ মানে বিস্ফোরক, দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের

‘ঘি তৈরি আছে। বম্বের দলও চলে আসবে। ওদের হাত দিয়েই যথাস্থানে পৌঁছে যাবে ঘি।’ এভাবেই নিজেদের মধ্যে বার্তা আদানপ্রদান করতেন ভারতীয় চার ব্যক্তি। এই ‘ঘি’ চালাচালির সন্দেহে ভারতীয় গোয়েন্দারা তাদের গ্রেফতার করে। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ঘি সেই ঘি নয়। এই ঘি কেড়ে নিতে পারে হাজারো মানুষের প্রাণ। কারণ, এই ঘি মানে বিস্ফোরক।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বিষয়ক মামলায় তিন বছর আগে ওই চার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৪ অক্টোবর) মামলার শুনানিতে দিল্লির আদালত গোয়েন্দাদের ঘি বিষয়ক এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি হননি। উড়িয়ে দিয়েছেন এই ব্যাখ্যাকে। ফলে গলার ফাঁস হয়ে ঝুলে থাকা ‘ঘি’ই শেষ পর্যন্ত মুক্তির মূল কারণ হয়েছে ওই চার ব্যক্তির।
আদালতের ভাষ্য, চার অভিযুক্তের গতিবিধি নিশ্চিতভাবেই সন্দেহজনক। কিন্তু গোয়েন্দারা যে শব্দের কথা বলছেন, সেগুলো একাধিক অর্থেই ব্যবহৃত হতে পারে। ‘ঘি’ মানে যে বিস্ফোরকই, এতটা নিশ্চিত হওয়া যায় কী করে?
খবরে বলা হয়েছে, উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে না পারায় ওই চার জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ নিজেদের ডি-কোডিংয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারল না কেন, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৮ সালে হরিয়ানা থেকে মো. সালমান, আরিফ গুলাম, মো. সেলিম এবং মো. হুসেনকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। তাদের দাবি, মসজিদ তৈরির নামে এই চার জনকে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ফালা-ই-ইনসানিয়ত প্রচুর টাকা দিচ্ছিল।
এর পাশাপাশি, দুবাইপ্রবাসী পাকিস্তানি জঙ্গি কামরানের সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এনআইএর দাবি, কামরানকে স্লিপার সেল তৈরিতে মদত দিচ্ছিল এই চার জন। আদালত বলেছেন, মসজিদ তৈরির নামে গড়ে তোলা তহবিল যে কোনো স্লিপার সেলের কাজে লাগছিল, তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি এনআইএ।
এইচকে