চীনে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

চীনের রাজধানী বেইজিংসহ এর আশপাশের এলাকা, হেইলংজিয়াং রাজ্য, হেবেই এবং উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য জিলিনে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার এক বিবৃতিতে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বেইজিং ও তার আশপাশের এলাকায় ১২৪, জিলিনে ১১৭, হেইলিংজিয়াংয়ে ৩৫ এবং হেবেই রাজ্যে ১১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২০ সালের মার্চের পর সংক্রমণের এই হার সর্বোচ্চ।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় এই হার নিতান্তই নগন্য মনে হলেও গতবছর মার্চের পর থেকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে- অর্থাৎ বিশাল এলাকাজুড়ে কঠোর ও দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাপক মাত্রায় করোনা টেস্ট- এসব বিবেচনা করা হলে এই সক্রমণের এই হারকে উর্ধ্বগতিই বলা যায়।
চীনের বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী আগামী মাসে দেশটিতে নতুন চান্দ্র বছরের ছুটি হতে যাচ্ছে। বিশ্বের সবথেকে বেশি জনঘনত্বের এই দেশে নববর্ষের ছুটিতে প্রচুর মানুষ তাদের কর্মস্থল থেকে নিজের এলাকায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে যান। চীন সরকার এই ছুটির আগেই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বদ্ধপরিকর।
বর্তমানে চীনের বেইজিং ও তার আশাপাশের এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৯ হাজার ১১৫; এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম যে ব্যক্তি মারা যান, ওই মার্কেটে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
৬১ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি যখন মারা যান, তখনো এই রোগের নাম নির্দিষ্ট করা হয়নি। চীনের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।
করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, চীন থেকে গোটা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন বেশ কয়েকবার।
তবে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন। দেশটির দাবি, করোনাভাইরাসের উত্স নির্দিষ্ট কোনও একটি এলাকা নয়; একাধিক উত্স থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ