পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (১০ নভেম্বর) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি।
টুইটবার্তায় আবদুল কাহার বালখি বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা এবং অর্থনীতি, ট্রানজিট, শরণার্থী ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে আফগান প্রতিনিধি দল।
— Abdul Qahar Balkhi (@QaharBalkhi) November 9, 2021
অক্টোবরে কাবুল সফরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। সেখানে তিনি আমির খান মুত্তাকিকে ইসলামাবাদে আসার আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই পাকিস্তান যাচ্ছেন মুত্তাকি।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর এই প্রথম দেশটির নতুন সরকারের কোনো মন্ত্রী পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন।
রাজধানী ইসলামাবাদে দূতাবাসের পাশাপাশি পাকিস্তানের আরও তিনটি শহরে আফগানিস্তানের কনস্যুলেট রয়েছে। এই শহরগুলো হলো পেশোয়ার, করাচি ও কোয়েটা।
আফগানিস্তানের নবগঠিত তালেবান সরকারকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি পাকিস্তান। তবে ১৫ আগস্টের পর থেকে ইসলামাবাদের দূতাবাসসহ আফগান কনস্যুলেটগুলো তালেবান সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে।
পাকিস্তান সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডনকে বলেন, ‘আমির খান মুত্তাকি তালেবান বাহিনীর মূল নেতাদের মধ্যে একজন। সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও তিনি।’
‘সুতরাং, সার্বিক বিবেচনায় দু’দেশের জন্যই তার এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যেকার চুক্তি- আফগানিস্তান-পাকিস্তান অ্যাকশন প্ল্যান ফর পিস অ্যান্ড সলিডারিটি (এপিএপিপিএস) পুনরায় সক্রিয় করতে চায় পাকিস্তান। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এই ইস্যুতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক-কূটনৈতিক-সামরিক-গোয়েন্দা সহযোগিতা বৃদ্ধি, যৌথ অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও শরণার্থী সমস্যা সমাধানে ২০১৮ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সরকারের প্রতিনিধিরা এপিএপিপিএস চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। সেসময় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আশরাফ গনি।
সূত্র: ডন
এসএমডব্লিউ