জেসিন্ডার লাইভে মেয়ে নেভের খুনসুটি

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু তার কথার মধ্যেই পাশ থেকে ছোট্ট একটি শিশুর কণ্ঠ শোনা গেল- ‘মাম্মি’?
কণ্ঠটি তার তিন বছরের শিশুকন্যা নেভের। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসভবনে যখন জেসিন্ডা আর্ডার্ন ফেসবুক লাইভে নিউজিল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরছিলেন, তখনই ঘটে এই ঘটনা।
মেয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বক্তব্য থামিয়ে মুখ ঘুরিয়ে তাকে জেসিন্ডা বলেন, ‘তোমার এখন বিছানায় যাওয়া উচিত সোনা। লক্ষ্মী মেয়ের মতো ঘুমানো উচিত।’
কিন্তু এই কথায় কান না দিয়ে নেভে সোজা তার মাকে জানিয়ে দেয়, ‘না, আমি এখন ঘুমুব না।’
মেয়ের এই সোজাসাপ্টা উত্তরে ফেসবুক লাইভে খানিকটা বিব্রত হাসি হেসে জেসিন্ডা বলেন, ‘কিন্তু এখন তো ঘুমাবার সময় সোনা; বাবা শুয়ে পড়েছে, তুমিও শুয়ে পড়ো…আমি এক মিনিটের মধ্যেই আসছি।’
তারপর জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটি তো সত্যি ঘুমানোর সময়, তাই না? আমি ভেবেছিলাম এই ফাঁকে ফেসবুক লাইভটা সেরে ফেলি। এটা বেশ চমৎকার ও নিরাপদ হবে।’
‘আপনাদের কারো না কারোর নিশ্চই এমন বাচ্চা আছে, যে রাতে ঘুমানোর সময় অন্তত তিন-চারবার বিছানা থেকে নেমে পড়ে? যাদের আছে, তারা আমার অবস্থা বুঝবেন।’
‘আমি আমার মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ যে এই সময় তিনি আমার সঙ্গে আছেন। নইলে আমার পক্ষে তাকে (নেভে) সামলানো কঠিন হতো।’
এই বলে আবার বক্তব্যে ফিরে যাওয়ার জন্য যখন জেসিন্ডা বলেন, ‘আচ্ছা, আমরা কোথায় ছিলাম?’- ঠিক তখন ফের পাশ থেকে নেভের প্রশ্ন, ‘তোমার এত দেরি হচ্ছে কেন?’
এবার হাল ছেড়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দুঃখিত সোনা, সত্যিই আমার অনেক দেরি হচ্ছে।’
‘আপনাদের সবার কাছে আমি দুঃখিত। আমাকে এখন নেভে ঘুম পাড়াতে হবে। বেশি রাত জাগলে তার শরীর খারাপ করবে। আমার সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’
২০১৮ সালে নেভের জন্মের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মা হওয়ার অভিজ্ঞতা হয় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নের। বেনজির ভুট্টোর পর জেসিন্ডা বিশ্বের দ্বিতীয় নেত্রী, যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা অবস্থায় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
সূত্র: এএফপি
এসএমডব্লিউ