বাইডেনের আদেশ আদালতে স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর সপ্তাহখানেক সময় পার হয়েছে। আর এর মধ্যেই অভিবাসন সংক্রান্ত এক আদেশ নিয়ে আদালতে ধাক্কা খেলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের বিষয়ে বাইডেনের দেওয়া ১০০ দিনের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত কছে দেশটির একটি আদালত।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত একটি আদেশ সাময়িকভাবে ১০০ দিনের জন্য স্থগিত করেন জো বাইডেন।ওই আদেশে বলা আছে- যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লে অবিলম্বে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাইডেন এই আদেশটি স্থগিত করেছিলেন।

কিন্তু স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সেই সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আদালত। টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার আগপর্যন্ত বাইডেনের সিদ্ধান্তে ১৪ দিনের সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন বিচারক ড্রিউ টিপটন। ফলে বৈধ নথিপত্র নেই এমন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো অব্যাহত থাকবে।
বিচারকের মন্তব্য, সিদ্ধান্তটির পক্ষে কোনো শক্তশালী বা যৌক্তিক কারণ তুলে ধরতে পারেনি বাইডেন প্রশাসন। তবে আগামী ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতের স্থগিতাদেশ চ্যালেঞ্জের সুযোগ পাবে নতুন সরকার।

এর আগে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দিনই ১৭টি নির্বাহী আদেশ ও ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন বাইডেন। এর মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন ঠেকানোর পাশাপাশি ছিল এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশনাও। একইসঙ্গে সাতটি মুসলিম দেশের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের দেওয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও ঘোষণা দেন বাইডেন।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন তাৎক্ষণিকভাবে বাইডেনের অভিবাসন সংক্রান্ত ওই আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেন। পরে বাইডেনের সিদ্ধান্ত সাময়িক স্থগিত করায় আদালতের প্রশংসা করেন প্যাক্সটন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় আমি আদালতের প্রশংসা করছি।’

অবশ্য প্যাক্সটনের আবেদন খারিজ করে দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল শীর্ষস্থানীয় মার্কিন মানবাধিকার গ্রুপ ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)’।
মানবাধিকার সংস্থাটির আইনজীবী ক্যাডি ওফসি বলেন, ‘(নির্বাচনে) ট্রাম্প প্রশাসনের বিপর্যয়কর অভিবাসন নীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন ভোটাররা। কিন্তু (নির্বাচনে বিজয়ের পরও) পরিস্থিতি পরিবর্তন করা থেকে বাইডেন প্রশাসনকে বিরত রাখতে চাচ্ছে টেক্সাস।’
সূত্র: এএফপি
টিএম