বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৭ কোটি ৩২ লাখ ছাড়াল

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা নাগাদ ৭ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার সবশেষে হিসাবে জানা যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এই সময় পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট প্রাণহানি হয়েছে ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৭ জনের। তবে ৫ কোটি ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৫২০ জন মানুষ রোগটি থেকে সেরে উঠেছেন।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ প্রায়। দেশটিতে এ পর্যন্ত মহামারি করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৩ লাখ ৮ হাজার ৯১ জন।
করোনার প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রতিবেশী দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৬ হাজার ৫০৭ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৬ জন মারা গেছেন।
সংক্রমণের দিক বিবেচনায় লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল তৃতীয় অবস্থানে। দেশটিতে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৯ লাখ ২৯ হাজার ৪০৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
গত ডিসেম্বরের চীনে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত দেশগুলোর তালিকায় এর পর রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, ইতালি, স্পেন ও আর্জেন্টিনা।
মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ বিপযর্যস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৩২ জনের ৭ হাজার ৮৯ জন ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি। শিগগিরই আরও কিছু দেশে শুরু হবে। মূলত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
চীনে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এর পর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে।
সংক্রমণ বিস্তারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ৩০ জানুয়ারি নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর পর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম কোনো করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। আর ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।
এমএইচএস/এএস