বিকৃত নাক নিয়ে বিপাকে তিনি

মানুষের মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে নাকের ওপর। যদি নাক দেখতে ঠিক না হয়, তবে মুখের সৌন্দর্যই পাল্টে যায়। কিন্তু বিকৃত নাক নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিলেন নিউইয়র্কের বাসিন্দা কর্নাডো। অস্বাভাবিক বড় নাক নিয়ে তাকে পোহাতে হয় নানা ঝামেলাও।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে কর্নাডো জানান, তার নাকের আকার শুরুতে স্বাভাবিক ছিল। একটা বয়সের পর থেকে নাকের সামনের অংশ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। কয়েক বছরের ব্যবধানে এটা দুই ইঞ্চি বেড়ে যায়। ওই নাক নিয়ে মজা করতেন পরিচিতরা। অনেকেই তার নাককে পুরুষাঙ্গের সঙ্গে তুলনা করতেন। মানুষের কটাক্ষ শুনতে শুনতে কার্যত মনমরা হয়ে পড়েছিলেন পেশায় নির্মাণকর্মী কর্নাডো। বাইরে গেলে নাক ঢেকে বের হতেন তিনি। পরিচিতদের থেকে মুখ লুকতেন। তবে বড়দিনের আগে সবচেয়ে মূল্যবান উপহার পেলেন তিনি।
কর্নাডো জানান, পরিচিতরা মজা করতেন। অপরিচিতরা অদ্ভুত নজরে তার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। এমনকি বাচ্চারাও তাকে দেখে হাসাহাসি করত। কেউ কেউ ভয় পেত। বড় নাকের কারণে শ্বাস নিতে, খাবার খেতেও তার অসুবিধা হতো। অবশেষে কর্নাডোর সমস্যার সমাধান করলেন চিকিৎসক থমাস রুমো।
লেনক্স হিল হাসপাতালের ফেশিয়াল প্লাস্টিক রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি বিভাগের বিভাগের ডিরেক্টর থমাস রুমো কর্নাডোর নাকের চিকিৎসা শুরু করেন। প্লাস্টিক সার্জারি করে নাকের বাড়তি অংশ কেটে ফেলে দেন। কঠিন হলেও অপারেশন করে কর্নাডোকে অসম্মানের হাত থেকে পুরোপুরি বাঁচালেন তিনি। বড়দিনে এমন উপহার পেয়ে ব্যাপক খুশি কর্নাডো।
সূত্র : জি২৪ ঘণ্টা
এসকেডি