আরও দুই টিকা ও মলনুপিরাভিরের অনুমোদন দিল ভারত

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে টিকাদান কর্মসূচিতে করোনা টিকা করবেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্স ব্যাবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। এর পাশাপাশি করোনার অ্যান্টিভাইরাল পিল মলনুপিরাভিরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার একাধিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো।
টিকা দু’টি কেন্দ্রীয় সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বিবেচনাধীন ছিল। সোমবারই ওই বিশেষজ্ঞ প্যানেল চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য পাঠায়।
বড়দের ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে এই টিকা দু’টি ব্যবহার করা যাবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছে। অন্য দিকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভিরকে কোভিড আক্রান্তের ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত দ্বিতীয় টিকা করবেভ্যাক্স। এটি ‘আরবিডি প্রোটিন সাব ইউনিট’ ক্যাটাগরির টিকা। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী হায়দরাবাদভিত্তিক ওষুধপ্রস্তুকারী কোম্পানি বায়োলজিক্যাল ই- এই টিকাটি তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, মার্কিন ওষুধ কোম্পানি নোভাভ্যাক্টের করোনা টিকার ভারতীয় সংস্করণের নাম কোভোভ্যাক্স, যেটির প্রস্তুতাকরী প্রতিষ্ঠানের নাম সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে ভারতে। প্রথম পর্যায়ে কর্মসূচিতে ব্যবহারের জ্ন্য কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন- এই দু’টি টিকা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। পরে আরও টিকা ব্যবাহরের অনুমোদন দেওয়া হয়। করবেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্সের মাধ্যমে ভারতে ডিজিসিআই অনুমোদিত করোনা টিকার সংখ্যা পৌঁছাল আটে।
ভারতের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৪১ জন এবং এ রোগে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার ১৮ জনের।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে চলতি বছর এপ্রিলে শুরু হওয়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল ভারত। সে সময় প্রতিদিন দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৪ লাখের কোঠা, দৈনিক মৃত্যু পৌঁছেছিল ৪ হাজারে।
তারপর জুলাই থেকে দেশটিতে দুর্বল হতে শুরু করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুও নেমে আসে অনেকখানি। গত তিন দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ রয়েছে ছয় হাজারের ঘরে।
এসএমডব্লিউ