আরও একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিল চীন

সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য চীনা ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় আরেকটি টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বেইজিং। শনিবার চীনের মেডিক্যাল পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিনোভ্যাকের এই ভ্যাকসিন সর্ব-সাধারণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বলে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সিনোভ্যাক বায়োটেক বলেছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। এর ফলে চীনে এখন পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে তৈরি দুটি করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য দেশটির সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেল; বলছে রয়টার্স।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের (সিনোফার্ম) তৈরি একটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে থেকেই চীনে টিকাদান কর্মসূচিতে এ দুটি ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উচ্চ-ঝুঁকিতে থাকা দেশটির জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের শরীরে গত ডিসেম্বর থেকে ভ্যাকসিন দুটি দেওয়া হচ্ছে।
সিনোভ্যাকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেসের তৈরি করোনাভ্যাক ভ্যাকসিনটি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে এবং লাওসে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। চীনের তৈরি এই ভ্যাকসিনের দেশের বাইরে শেষ-ধাপের পরীক্ষার অন্তবর্তী ফলের ওপর নির্ভর করে অনুমোদন দেওয়া হয়। এই ভ্যাকসিনটির এখনও শেষ ধাপের পরীক্ষা শেষ হয়নি।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবার বিক্রির বাজার থেকে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে বিশ্বের ২১৮টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ ১০ হাজার।
এসএস