ইউক্রেন সীমান্তে ব্যাপক রুশ তৎপরতা নতুন উপগ্রহ চিত্রে

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে মস্কো যে দাবি করেছে, তা নিয়ে সন্দেহ জোরাল হয়েছে স্যাটেলাইটে পাওয়া নতুন চিত্রে। মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজিসের নতুন উপগ্রহ চিত্রে বেলারুশ, ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় ব্যাপক সামরিক তৎপরতা ধরা পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া আরও ৭ হাজারের মতো সৈন্য উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে; যাদের মধ্যে কিছু সৈন্য বুধবার সেখানে পৌঁছেছেন।
গত ৪৮ ঘণ্টায় ম্যাক্সারের ধারণকৃত উচ্চ-রেজ্যুলেশনের ছবিতে দেখা যায়, বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ছয় কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে নতুন একটি সামরিক পন্টুন সেতু নির্মাণ এবং ক্রিমিয়া, পশ্চিম রাশিয়ায় সৈন্য ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে।
মার্কিন এই বেসরকারি প্রযুক্তি কোম্পানির উপগ্রহ চিত্রে বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্যদের প্রশিক্ষণের দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অ্যাটাক হেলিকপ্টারও মোতায়েন ও বিশাল ফিল্ড হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে।
রাশিয়া যেসব এলাকায় সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে; তার মধ্যে অন্যতম ইউক্রেনের উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। এছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া উপকূল এবং ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মস্কোর বিশাল বিমানঘাঁটিও রয়েছে।
ইউক্রেন সংকটে রাশিয়া কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী বলে মনে হলেও ওই অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে মস্কো থেকে উল্লেখযোগ্য কোনও ইঙ্গিত মিলছে না।
ইউক্রেনের আশপাশে লাখো সৈন্য, ক্ষেপণাস্ত্র এবং রণতরী মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন ঘিরে তৈরি হওয়া এই সংকট ইউরোপে স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। ইউক্রেন সীমান্তে তৈরি হওয়া হুমকি এখনও আছে বলে মন্তব্য করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান নিষিদ্ধ এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটোর সৈন্য প্রত্যাহার করতে পশ্চিমা নেতাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মস্কো বলছে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান এই জোটকে রাশিয়ার সীমান্তে নিয়ে আসবে। এর ফলে মস্কোর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। তবে পশ্চিমা নেতারা রাশিয়ার এসব দাবি প্রথমে পাত্তা না দিলেও এখন আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য ফিরিয়ে নেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে মস্কোও।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসএস