ইউক্রেন: পুতিনকে সমর্থন জানাল সিরিয়া

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড লুহানস্ক ও দোনেতস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করলেও পুতিনের স্বীকৃতিকে সমর্থন করেছে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র সিরিয়া।
দ্রুত এই দু’টি দেশে নিজেদের দূতাবাস খোলা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সরকার।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ বর্তমানে এক সফরে মস্কোতে আছেন। সেখানেই পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন জানিয়েছেন। সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মস্কোতে এক অনুষ্ঠানে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লুহানস্ক ও দোনেতস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাকে সিরিয়া সমর্থন করছে।’
রাশিয়ার এই স্বীকৃতির পর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে। বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন সরকার। যুক্তরাজ্য ও জাপানের সরকার ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে, বাইডেন প্রশাসন কোনো নিষেধাজ্ঞা দিলে তাতে এই দুই দেশের সমর্থন থাকবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এ বিষয়ে ভুল পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। মস্কোর ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ চলার সময় পশ্চিমের দেশগুলো যা করেছিল, এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধেও তারা সেই একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।’
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আমল থেকেই রাশিয়ার অন্যতম বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ট মিত্র সিরিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও অটুট রয়েছে এই সৌহার্দ্য।
দুই দেশের বন্ধুত্বে নতুন মাত্রা যোগ হয় ২০১৫ সালে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ও বিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংস তৎপরতায় নাজেহাল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সহযোগিতা করতে রুশ সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করেছিলেন পুতিন। ওই সময় রুশ সহযোগিতা না পেলে সিরিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রায় অসম্ভব হতো বাশার আল আসাদের পক্ষে।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে ফয়সাল মেকদাদ বলেন, ‘সিরিয়া লুহানস্ক এবং দোনেতস্ক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করতে আগ্রাহী।’
এসএমডব্লিউ