কর্মস্থল পরিবর্তন করতে চান?
অনেক সময় কর্মস্থল পরিবর্তন করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়ে। পেশাজীবনে সামনে এগিয়ে যেতে চাকরি পরিবর্তন স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তবে হুট করে কর্মস্থল পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে। তাই সিদ্ধান্তটা ভেবেচিন্তে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ওহ, আরও একটি কথা- নতুন চাকরিতে যোগদান করলেও পুরনো কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে ভুলবেন না।
যা করবেন
১। চাকরি ছাড়ার কয়েক দিন আগে মানবসম্পদ বিভাগকে অবহিত করুন। তারা আপনার প্রাপ্য বেতন-বোনাস পেতে সহায়তা করবে।
২। বর্তমান অফিসের বিল-বকেয়া কিংবা ছোটখাটো সব আর্থিক হিসাব মিটিয়ে ফেলা বুদ্ধিমানে কাজ হবে।
৩। আপনার নামে অফিস থেকে বরাদ্দ হওয়া ক্যামেরা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস, গাড়ি-মোটরসাইকেল বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে লিখিত ছাড়পত্র নিয়ে নেবেন। যাতে করে আপনাকে কোন কিছুর জন্য দায়বদ্ধ করতে না পারে।
৪। অব্যাহতি পত্র আর অভিজ্ঞতার সনদ মানবসম্পদ বিভাগ থেকে নিতে ভুলবেন না। এতে ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবে।
৫। ব্যবহৃত কম্পিউটার থেকে ব্যক্তিগত তথ্যাদি ও ফাইল মুছে ফেলুন। নাহলে পরবর্তীতে বিপদে পড়তে পারেন।
৬। চাকরি ছাড়ার সময় অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে পুরনো রাগ-অভিমান কাটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
৭। নতুন অফিসে যোগদান করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন।
যা করবেন না
১। পুরনো অফিসের তথ্য কিংবা দলিলপত্র নতুন অফিসে কাজে লাগবে, ভেবে নিজের সঙ্গে নিবেন না।
২। ভুলেও নতুন চাকরি নিয়ে পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করবেন না। এতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৩। চাকরি ছাড়ার সময় অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কোন ক্ষোভ ঝাড়বেন না। এতে আপনার পেশা জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
৪। নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের আগে কয়েকটা দিন বেড়িয়ে আসতে পারেন। ফলে নতুন ভাবে সব কিছু শুরু করতে পারবেন।