অনলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়ম
দু'একটি ছাড়া, সব সরকারি প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে চাকরির আবেদন গ্রহণ করছে। কিন্তু আবেদন করার নিয়ম ঠিকমত জানা না থাকায়, অনেকেই নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে দোকানে গিয়ে গচ্চা দিচ্ছেন পাঁচশ থেকে হাজার টাকা। অথচ, নিয়মাবলী জানা থাকলে ঘরে বসেই করতে পারবেন আবেদন। এ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত আবেদন ফি ছাড়া লাগবে না কোন বাড়তি টাকা। তাহলে চলুন জেনে নেই অনলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়ম-
আবেদনের সময় যা থাকতেই হবে-
১। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।
২। মোবাইল নম্বর।
৩। সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি।
৪। স্বাক্ষর এর স্ক্যান কপি।
আরও পড়ুন> নিখুঁত সিভি লিখবেন যেভাবে

আবেদনের ধাপ সমূহ-
সরকারি যে প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করুন না কেন, অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম একই। তাই প্রথমেই নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন। এরপর-
১। নির্দিষ্ট ঘরে এসএসসি সনদ অনুসারে বাংলায় ও ইংরেজিতে (বড় অক্ষরে) নিজের নাম লিখুন।
২। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইংরেজিতে লিখুন।
৩। জন্ম তারিখ ইংরেজিতে লিখতে হবে (YYYY-MM-DD) এই ফরমেটে।
৪। নিজের বিভাগ নির্বাচন করুন।
৫। নিজের জেলা নির্বাচন করুন।
৬। এসএসসি সনদ অনুসারে নিজের পিতার নাম লিখুন।
৭। এসএসসি সনদ অনুসারে মাতার নাম লিখুন।
৮। জেন্ডার নির্বাচন করুন।
৯। মোবাইল নম্বর লিখুন ইংরেজিতে।
১০। নিজের ধর্ম সঠিক ভাবে লিখুন।
১১। নিজের জাতীয়তা সঠিক ভাবে লিখুন।
১২। ই-মেইল (যদি থাকে) সঠিক ভাবে লিখুন ( ইংরেজিতে, উদাহরণ: [email protected])
১৩। আপনার কোনও পেশা থাকলে লিখুন।
১৪। বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সঠিক ভাবে লিখুন।

আরও পড়ুন> সিভিতে যে ৮ স্কিল উল্লেখ করলে চাকরি হবেই
এ পর্যায় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।
১। নির্ধারিত বক্সে শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্রম সাজাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রথমে এনে ক্রম সাজাতে হবে।
২। অতিরিক্ত যোগ্যতা (যদি থাকে) তাহলে সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৩। অভিজ্ঞতা বিবরণের ঘরে কোনও প্রকার অভিজ্ঞতা থাকলে সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৪। এরপর সতর্কতার সঙ্গে কোটার ঘর নির্বাচন করতে হবে। যদি আপনি কোটায় আবেদন করেন, তাহলে সেটা নির্বাচন করতে হবে। না হলে ‘অন্যান্য’ নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন> পাইলট হতে কি যোগ্যতা লাগে
এরপর আসবে ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করার ধাপ। এই ধাপের তথ্যগুলো বেশ সতর্কতার সঙ্গে আপলোড করতে হবে। তথ্য কিংবা ফরমেট এদিক সেদিক হলে ধাপটি সম্পন্ন করা যাবে না।
১। প্রথমেই প্রার্থীর ছবি আপলোড করতে হবে। ছবি হতে হবে সদ্য তোলা রঙ্গিন। ছবির সাইজ ৩০০ X ৩০০ পিক্সেল এর জেপিজি ফরমেটের হতে হবে। এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।
২। ছবিটি অবশ্যই ৩০০ কেবি এর ভিতরে হতে হবে।
৩। প্রার্থীর স্বাক্ষর হতে হবে ২৫০ X ১৫০ পিক্সেল। জেপিজি ফরমেট ও সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড না হলে আপলোড করা সম্ভব হবে না। স্বাক্ষরের ছবিটিও ৩০০ কেবির মধ্যে হবে হবে।
সবকিছু সঠিক ভাবে পূরণ করার পর “সংরক্ষণ করুন ও পরবর্তী ধাপ” বাটন ক্লিক করুন। তারপর সব ঠিক থাকলে আপনার বায়ো-ডাটা সঠিক ভাবে তৈরি হবে।
এরপর আবেদন ফি’র চালান রশিদের স্ক্যান কপি আপলোড করে “আবেদন নিশ্চিত করুন” বাটন এ ক্লিক করলে আবেদন যাচাইকরণ একটি পেজ আসবে। এখানে সবকিছু ঠিক থাকলে “আবেদন নিশ্চিত করুন” বাটন এ ক্লিক করতে হবে। তবে এ পর্যায়ে কোনও তথ্য ভুল থাকলে সম্পাদনা বাটন এ ক্লিক করে সংশোধন করা যাবে। কিন্তু আবেদন একবার নিশ্চিত করা হয়ে গেলে, সংশোধনের সুযোগ থাকবে না
আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে আবেদনপত্র প্রিন্ট করে রাখতে হবে। কেননা অনেক সময় লিখিত কিংবা মৌখিক পরীক্ষায় চালানের মূলকপি,আবেদনের প্রিন্ট করা হার্ডকপি ও সকল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হয়।
