পেশার প্রতি পেশাদারিত্ব আছে তো?
পেশাদারিত্ব নির্ভর করে আচার-আচরণ, ব্যবহার ও মনোভাবের ওপর। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সহকর্মীদের সঙ্গে ভলো ব্যবহার, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা মানুষকে পেশাদার করে তোলে।
মরিয়ম ওয়েবস্টার ডিকশনারির মতে, কর্মীর আচার-আচরণ, গুণাবলী এবং নিত্যদিনের নিয়ম নীতিকে এক শব্দে পেশাদারিত্ব বলে। অন্যভাবে বললে, পেশাদারিত্ব হচ্ছে একটি দক্ষতা যা মানুষকে মার্জিত ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলে।
পেশাদারিত্বের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মানুষকে বিবেকবান ও শুভবোধসম্পন্ন করে তোলে। তেমনই ৬ বিষয় রয়েছে; যা আপনার মধ্যে থাকলে নিজের পেশার প্রতি পেশাদারিত্ব প্রমাণ করতে পারবেন-
১. পেশাগত জ্ঞান
প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের পাশাপাশি পেশাগত জ্ঞান থাকলে দ্রুত উন্নতি করা যায়। যে পেশায় কাজ করছেন সেই পেশা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকাকেই পেশাগত জ্ঞান বলা হয়। পেশাগত জ্ঞানের মাধ্যমে চাকরিতে পদোন্নতি লাভ করা যায়, ব্যবসায়ে নতুন নতুন ভোক্তা তৈরি করা যায়।
২. ভদ্র আচরণ
ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের মানুষকে কর্মক্ষেত্রে সবাই পছন্দ করে। মার্জিত রুচিসম্পন্ন মানুষ সহকর্মীদের প্রিয়পাত্রেও পরিণত হয়ে থাকেন। ভালো আচরণ করলে পেশাগত কাজে অনেকে সাহায্য করে থাকেন।
৩. পারদর্শিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা
একজন কর্মীর যেমন পেশাগত কাজে পারদর্শিতার প্রয়োজন, তেমন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিশ্বস্তও হতে হবে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাতে বিশ্বাস করতে পারেন সেই কারণে কর্মীকে বিশ্বস্ত হতে হবে। কোনো কাজে পারদর্শিতা থাকলে দ্রুত পদোন্নতি লাভ করা সম্ভব।
৪. সততা ও ন্যায়পরায়ণতা
অধিকাংশ অফিসে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ কর্মী দ্রুত উন্নতি করে থাকেন। সৎ কর্মী সবার ভালোবাসার পাত্র হয়ে থাকেন। ন্যায়পরায়ণ হওয়ার মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিশ্বস্ত হওয়া যায়।
৫. ইতিবাচক মনোভাব
সবসময় হাসিখুশি মানুষকে অফিসের সবাই পছন্দ করে। ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন মানুষ মার্জিত রুচি ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে থাকেন। ইতিবাচক থাকার অর্থ খারাপ পরিস্থিতি অস্বীকার করা নয়। বরং খারাপ পরিস্থিতিতে যিনি দৃঢ় মনোবল রাখতে পারেন তিনিই সফল কর্মী।
৬. অন্যদের সঙ্গে তুলনা কম করা
পেশাদারিত্বের সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অন্যদের সঙ্গে তুলনা কম করা। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে কাজের গতিশীলতা কমে যায়। এর ফলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিশ্বস্ত থাকা সম্ভব হয় না।
এই হলো পেশাদারিত্বের ৬ বৈশিষ্ট্য। একজন কর্মী যখন নিয়মানুবর্তী হয়ে ওঠেন তখন তাকে পেশাদার বলা যেতে পারে। নিজের ও অন্যদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে কাজ করা এবং নিজের ভুলের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে পেশাদার করে তোলে।
স্কিল টাইপ অবলম্বণে এইচকে/আরআর