সফল ব্যবসায়ী হওয়ার মন্ত্র
ব্যবসা কোনো চ্যারিটি নয়। এর প্রথম ও শেষ কথা মুনাফা। একই সঙ্গে ক্রেতার বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠাও ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ। একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে শুরুটা হতে হবে পরিকল্পনা মাফিক। থাকবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, গ্রাফ ও বাজার পরিচিতি। নির্ভরযোগ্য তথ্য, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আর যুতসই অর্থের যোগানের সমন্বয় শুরু করা যেতে পারে একটি চমৎকার ব্যবসা-
১. বাজার নিয়ে গবেষণা
ব্যবসা শুরুর আগে যে পণ্য বা সেবা নিয়ে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক, তার বাজার সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে। পণ্যটির চাহিদা কেমন, বাজারে সেটার যোগান কেমন, বিপণনে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে, কোথায় বিপণন করা হবে- এসব যাচাই বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে বর্তমান বাজারের অবস্থা ও মূল্য সম্পর্কেও জানতে হবে।
বাজার জরিপটি বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর, দলীয় আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে। এমনকি বাজারের প্রতিযোগীদের নিয়েও চিন্তা ভাবনা করতে হবে।
২. লিখিত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
ব্যবসায় নামার আগে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা লিখে ফেলতে হবে। অবস্থান, সময় ও বিনিয়োগের বিষয়ে খুটি নাটি লেখা থাকলে পরবর্তীতে সুবিধা হবে।
৩. অর্থের ব্যবস্থা করা
ব্যবসা শুরুর আগে অর্থের যোগান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা বুদ্ধিমানের কাজ। বিভিন্ন উৎসব থেকে অর্থ আসতে পারে।
৪. স্থান নির্বাচন
কোন স্থানে ব্যবসায় লাভজনক হবে এটি শিল্পোদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করতে হবে। একেক অঞ্চলে একেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। এসব পণ্য কোন অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং সেসব অঞ্চলে যাতায়াত সুবিধা কেমন তা বিবেচনায় আনতে হবে। অঞ্চলভিত্তিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ভালো স্থান নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ব্যবসায়িক কাঠামো তৈরি করা
ব্যবসা ব্যক্তিমালিকানা, অংশীদারী কিংবা কোম্পানিভিত্তিক হবে তা নির্ধারণ করা খুব জরুরি। ব্যবসায়ের এই কাঠামোর সঙ্গে বিনিয়োগের সম্পর্ক অনেক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যক্তিমালিকানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তি নিজে বিনিয়োগ করে থাকেন। অংশীদারী ব্যবসায়ে কয়েক জন মিলে বিনিয়োগ করে থাকেন। আর কোম্পানিভিত্তিক ব্যবসায়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তি একত্রিত হয়ে বিনিয়োগ করে থাকেন।
৬. ব্যবসায়ের ‘নাম’ নির্বাচন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি নাম ঠিক করে রাখুন। পণ্য বা সেবার ওপর নির্ভর করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিক করুন। কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি নির্ভর করে নামের ওপর।
৭. নিবন্ধন করা
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সেটি নিবন্ধন করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স, টিন রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন। এর মাধ্যমে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লোন নিতে পারবেন। এতে করে ব্যবসায়ের উদ্দীপনা বেড়ে যাবে।
৮. ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লোনদেন করা
ব্যবসায়িক লেনদেন করুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এতে আপনি চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। এছাড়া বীমা অ্যাকাউন্ট খুলে রাখতে পারেন। কারণ যেকোনো প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। আর ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পর বীমা অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।
এইচএকে/আরআর
