চার্জশিটে আট জনকে অব্যাহতি : ফের তদন্তের নির্দেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ তিন জনকে অভিযুক্ত ও আট জনকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট দেওয়া হলেও মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন। তিনি বলেন, এ মামলার অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার-গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, তা পুনরায় তদন্ত করলে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা বের হয়ে আসবে। সেজন্য আমরা আদালতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেছি।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তিন জনকে অভিযুক্ত এবং আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদ। চার্জশিটে অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।
গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।
টিএইচ/এফআর