পি কে হালদার : ভারতকে ধন্যবাদ জানানো উচিত, বললেন হাইকোর্ট
পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আদালত বলেছেন, ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। কারণ সে এদেশের চিহ্নিত অর্থপাচারকারী।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। কোন ধরণের দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীকে প্রশ্রয় দেব না। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের ব্যাপারে আমরা খুবই সিরিয়াস।
পরে আদালত পি কে হালদার বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন। এর আগে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে দেশের ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।
আজকে পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
শনিবার ভারতের গণমাধ্যমের খবরে পি কে হালদারের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। এ বিষয়ে অমি ডিটেইল জানি না। কিছু পত্রপত্রিকায় গ্রেপ্তারের খবর দেখলাম। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে ভালো হয়। ওনারা আমাদের জানালে যা যা করার দরকার সেটা আমরা করব।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে তুলে হালদারকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
এমএইচডি/আইএসএইচ