প্রসূতির মৃত্যু: ডা. জাফরুল্লাহসহ ৬ জনের তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল

অবহেলাজনিত কারণে এক প্রসূতির মৃত্যুতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে। প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (০১ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার এ দিন ধার্য করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন প্রসূতির স্বামী এস এ আলম সবুজ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা ভালো সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনার সময় স্বামী সবুজ বারবার শংকরী রানীকে জানালেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রানীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রানী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রানী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেনি।
ভিকটিম স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেনি। শংকরী রানী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই ভিকটিমকে জোর করে সন্তান প্রসব করান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। রোগীর মৃত্যুর পেছনে তাদের কিছু অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরে বাদীপক্ষকে পাত্তা দেয় না। আসামিরা বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে না, পারলে মামলা করেন।
টিএইচ/জেডএস