লন্ড্রি ব্যবসায়ী সোহেল হত্যা : আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
২০১১ সালে সিলেটে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সোহেল আহমদকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে অপর আসামিকে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজা আল ফারুক ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।
রায়ে সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওরের কাজল মিয়ার মৃত্যুদণ্ড বহাল ও ইসলাম উদ্দিন ওরফে ইসলামকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ইসলাম উদ্দিনের এক বোনকে বিয়ে করেছিলেন সিলেট নগরের গোটাটিকর এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ। ইসলাম এ বিয়ে মেনে নেননি। এ ক্ষোভ থেকে ইসলাম ও তার বন্ধু কাজল ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে সোহেলকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বানাগাঁও এলাকার দালুয়ারবন্দ হাওরে নিয়ে যান।
সেখানে ইসলাম ও তার বন্ধু কাজল সোহেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন। সেটি অন্য জায়গায় ফেলে দিয়ে মরদেহ পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দেন। পরদিন পুলিশ সোহেলের মাথাটি হাওর এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলা করলে পুলিশ ইসলাম ও কাজলকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, ইসলাম তার বোনকে বন্ধু কাজলের কাছে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এ চাওয়া পূরণ না হওয়ায় তারা সোহেলকে হত্যা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন আদালতে ইসলাম ও কাজলসহ নয় জনকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভুঞা দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ইসলাম ও কাজল আপিল ও জেল আপিল করেন। ৪ অক্টোবর সোমবার এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষ হয়।
এমএইচডি/এমএইচএস