মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন

জামালপুরে কলেজছাত্রী মমতাজ বেগম মিমি (২৪) হত্যা মামলায় আসামি হাসানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি।
পরে শিশির মনির জানান, ঘটনার সময় আসামির বয়স ছিল ২৩ বছর। তার অতীতের ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। আবেগপ্রবণ হয়ে অপরাধ করেছে। প্রেম নিবেদনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে। আসামি মানসিক সাইকো ডিজঅর্ডারে ভুগছিলেন। এসব কারণে আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরিবর্তে তাকে যাবজ্জীবন দণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জামালপুরের মেলান্দহ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজের চতুর্থ লেভেলের ছাত্রী মমতাজ বেগম মিমিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয় একই কলেজের ছাত্র মাহমুদুল হাসান। এ ঘটনার জেরে ২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে কলেজ ছাত্রীনিবাসের বাথরুমের পেছনের ভ্যান্টিলেটর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে হাসান। ভোর ৫টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার সময় মিমিকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে সে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মিমির বাড়ি ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ার নয়াপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার এসএমএ মান্নানের মেয়ে। মাহমুদুল হাসানের বাড়ি ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালী এলাকার বলাশপুর রোডে। তার বাবার নাম আব্দুল বাকী।
এ ঘটনার কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ফরহাদ আলী বাদী হয়ে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ একমাত্র আসামি মাহমুদুল হাসানকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সায়েদুর রহমান খান মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি আপিল করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।
এমএইচডি/এসকেডি