হাইকোর্টে প্রতিবেদন: ৫ বছরে ধর্ষণ মামলা ২৬ হাজার ৬৯৫টি
সারাদেশের থানাগুলোতে বিগত ৫ বছরে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩৩১টি, ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৬৮৩টি, ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৬৯৫টি, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৭৬৬টি ও ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৬ হাজার ২২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ মার্চ) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এ প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক, অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহীনুজ্জামান শাহীন।
এছাড়া ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়) ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়)।
রিটের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর ধর্ষণের অপরাধে সালিশ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে মনিটরিং করতে নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১৮ অক্টোবর ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা কঠোরভাবে যেন পালন করা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া রিটে গত ১০ বছরে সারা দেশে থানায় কতগুলো ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে তার তথ্য জানাতে বলা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
গত ১৩ অক্টোবর অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়।
এমএইচডি/জেডএস